নিউজ18 বাংলাকে তিনি জানালেন, চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে তিনি যা খবর পেয়েছেন, প্রথম সপ্তাহে তাঁর ছবির প্রায় ২৫ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। দ্বিতীয় সপ্তাহে সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে মোট ৬০ হাজারে। তৃতীয় সপ্তাহের শেষে মোট সংখ্যা নাকি লক্ষাধিক হবে। প্রেক্ষাগৃহের শো-টাইমের সংখ্যাটাও সপ্তাহে সপ্তাহে বেড়েছে। প্রথম সপ্তাহে ২৬টি শো ছিল, দ্বিতীয় সপ্তাহে ছিল ৩৯টি শো, তৃতীয় সপ্তাহে ৬৪টি শো।
advertisement
আরও পড়ুন: হলে যাদের ঠাঁই নেই, তথাগতর ক্যাফেতে সেই সব ছবিমুক্তি, 'জুতো' নিয়ে আসছেন সৌরীশ
মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকলের দুই খুদে শিশুর অটুট বন্ধুর গল্প থেকে বিচ্ছেদ নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ছবি। মুক্তির আগেই এই সিনেমার ঝুলিতে এসেছে ৮টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ২৬টি দেশে তাদের অভিনীত সিনেমা দেখানো হচ্ছে। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের ভগীরথপুরের বাসিন্দা আরিফ সেখ ও আশিক সেখের অভিনয় নজর কেড়েছে দর্শকদের। ছবির তিন খুদে অভিনেতা-অভিনেত্রীর সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়, সম্প্রতি তিনজনকেই দ্বাদশ শ্রেণি অবধি হোস্টেলে রেখে পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে জঙ্গীপুরের একটি বেসরকারি আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বুধবার পরিচালকের উপস্থিতিতে ওই তিনজনকে স্কুলে ভর্তি করা হয়। বহু দিন ধরেই বিভিন্ন স্কুলে খুদেদের ভর্তি করানোর চেষ্টা করছিলেন প্রসূন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে মফসসলের ওই স্কুল।
আর তাদের নিয়ে ছবি বানাতে গিয়েও প্রবল অনটনের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাতে হয়েছে প্রসূনকে। যদিও পরিচালক সে সব লড়াইতে আলোকপাত করতে চান না। তাঁর কথায়, ''সিনেমা দেখে মানুষের ভাল লেগেছে, এই বড়। লড়াই তো প্রত্যেকেরই আছে। তবে হ্যাঁ, আমরা ঠিক করেছিলাম, না খেয়ে থাকতে হলেও ছবিটি শেষ করব। মোট ৬০ দিনের আউটডোর শ্যুট ছিল। টাকা ফুরিয়ে গিয়েছিল। গোটা শ্যুটিং শিডিউল প্রায় ৮-৯ রাত পরিচালককে না খেয়ে ছিলাম। শুধু আমি না, ইউনিটের অনেকেই এতটাই কষ্ট করেছেন।''
আরও পড়ুন: ‘দোস্তজী’-র তিন খুদের দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার দায়িত্ব নিল রঘুনাথগঞ্জের স্কুল
তবে ছবিতে বড় তারকা নেই বলে ছবির বাজেট কম, এমন ধারণা করাটা ভুল। যে কোনও তারকাখচিত বড় বাজেটের ছবির মতোই খরচ হয়েছে 'দোস্তজী' বানাতে। তবে প্রসূন আশাবাদী, মানুষের ছবি ভাল লেগেছে, নানা পন্থায় সেই টাকা উঠে আসবে। তাই খাতায় কলমে এই ছবিকে 'হিট' তকমা দিতে আপত্তি নেই।