নিউজ18 বাংলার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে স্মৃতির পাতা ওল্টালেন মধুবনী। বললেন, ‘‘লোকে শুনলে হাসবে, কিন্তু আমার গরম কাল দারুণ লাগে৷ কারণ গ্রীষ্মকাল মানেই আমার কাছে গরমের ছুটি৷ স্কুলের বইকে সাইডে রেখে গল্পের বইয়ে ডুব দেওয়া৷ পড়াশোনা থাকত তোলা, চলত জমিয়ে খেলা৷"
এর পর সময় গড়িয়েছে। গ্রীষ্মের ছুটি, বিকেলের খেলা- এ সবই এখন অতীত। কিন্তু অতীতের সেই আমেজ মধুবনীর কাছে বয়ে আনে পয়লা বৈশাখ৷ অভিনেত্রীর গলায় আবেগ আর উত্তেজনার মিশেল স্পষ্ট৷ কথা বলতে বলতেই খুলে গেল স্মৃতির দ্বার। মধুবনী জানালেন, পয়লা বৈশাখের দিনটাকে বেশ যত্ন নিয়ে কাটাতেন তিনি৷ কারণ অভিনেত্রীর মা বলতেন, এই দিনটা যেমন ভাবে কাটবে, সারা বছরও ঠিক সেই ভাবেই কাটবে৷ তাই এইদিন ভাল হওয়া ছিল ‘মাস্ট’৷
advertisement
আরও পড়ুন: এ বছর সেদ্ধ ভাত আর ডাল দিয়েই সারব নববর্ষের ভুরিভোজ: 'খড়ি' শোলাঙ্কি
মায়ের উপদেশ মেনে প্রায় সব 'ভাল কাজ' একই দিনে সেরে ফেলতেন মধুবনী। কিন্তু এখন তো তিনি নিজেই মা৷ কী ভাবে কাটছে পয়লা বৈশাখ? একরত্তিকে সামলে মধুবনী বললেন, ‘‘পয়লা বৈশাখে পুজো দেব, তার সঙ্গে কাজও করব৷ কারণ ওই যে সেই ছোটবেলায় মা বলেছিলেন, আজ যা করব, সারা বছর তা-ই হবে৷ তাই আজ সব ভাল কাজ করব৷ একটু সময় বার করে গানে বসব৷"
স্বামী-সন্তান নিয়ে এখন তিনি পুরোদস্তুর গৃহিণী। পাশাপাশি চলছে তাঁর ভ্লগ৷ পয়লা বৈশাখও কাজ এবং কাছের মানুষদের সঙ্গেই কাটাবেন মধুবনী।