১৯৩৯ সালে ২৯ অক্টোবর সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারে জন্ম হয় মলয় রায়চৌধুরীর৷ কবির এভাবে আচমকা চলে যাওয়ায় বিরাট শূন্যতা তৈরি হয়েছে পরিবারে৷
আরও পড়ুন-রোম্যান্সে চরম আপত্তি, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ নিয়ে বিরক্ত ছিলেন শাহরুখ! ২৫ বছর পর সত্য ফাঁস পরিচালকের
advertisement
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকস্তব্ধ অনুরাগীরা৷ পোস্টে লেখা-চলে গেলেন হাংরি আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব কবি মলয় রায়চৌধুরী। তাঁর লেখা কবিতা যে আমাকে খুব আলোড়িত করে, তা হয়ত নয়। তাহলে? তিনি মূল ধারার বাংলা কবিতার যে অনুশাসন তাকে শুরু থেকেই ভাঙচুর করতে চেয়েছেন। এবং তিনি নিজের অবস্থানে আমৃত্যু অটল ছিলেন, কখনও সেখান থেকে বিচ্যুত হননি। কবিতা লেখার পাশাপাশি তিনি প্রচুর প্রবন্ধ লিখেছেন। লিখেছেন উপন্যাস ও ছোটগল্পও। পোস্ট মডার্নিজমসহ বিভিন্ন ইজম নিয়েও তিনি বিস্তর লেখালেখি করেছেন। পড়েছেন বিশ্বসাহিত্য। শুধু পড়া নয়, বিশ্বসাহিত্যের অনেক উজ্জ্বল অধ্যায় তিনি বাংলায় অনুবাদ করেছেন। ‘প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার’ কবিতাটি লেখার জন্য অশ্লীলতার দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন মামলা চলে। তিনিই হচ্ছেন গুটিকয়েক কবিদের মধ্যে একজন,যিনি কবিতা লেখার জন্য কারাবরণ করেন। তাঁকে প্রণাম জানাই। সকলেই তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেছেন৷
জানা গিয়েছে, বহুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন মলয় রায়চৌধুরী৷ অবশেষে আজ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সকলকে ছেড়ে চলে গেলেন তিনি৷ সারা জীবনে বহু কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, অনুবাদ নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে গেছেন৷ বরাবরই বিতর্কিত ছিল সারাজীবন৷ এমনকি ২০০৩ সালে সাহিত্য অ্যাকাদেমি পুরস্কারও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন মলয় রায়চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালে এর ইশতেহার প্রকাশিত হয় পাটনায় সেখান থেকে শুরু হয় হাংরি আন্দোলন৷ যা ক্রমশ বঙ্গসাহিত্যের এদিক-ওদিক ছড়িয়ে পড়ে৷ তাঁর হাত ধরেই এই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল৷