তিনি জানান, “এখনও কাজ চলছে। আমরা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে এই ছবিটির শ্যুটিং শুরু করব।” কিন্তু ছবিটি থেকে তাঁর বেরিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপটি প্রযোজনার জন্য আর্থিক ক্ষতির কারণ বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, যার ফলে অক্ষয় তাঁর দীর্ঘদিনের সহ-অভিনেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছেন, তার জবাবে পরেশ স্পষ্ট করে বলেন যে, সিনেমা থেকে সরে আসার পেছনে তাঁর ন্যায্য কারণ ছিল এবং তিনি সুদ-সহ চুক্তির অর্থ ফেরত দিয়েছেন। কিন্তু, এই বিতর্ক কি প্রিয়দর্শনের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত এবং পেশাদার সমীকরণকে প্রভাবিত করেছে?
advertisement
পরেশ বলেন, “অনেক কিছু ঘটেছে কিন্তু তাতে প্রিয়দর্শনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খারাপ হয়নি, এভাবে খারাপ হয় না সম্পর্ক। আসলে যা ঘটেছে তা আমাদের সমীকরণকে আরও দৃঢ় করেছে। এই সব কিছুর মধ্য দিয়ে আমরা এখন একে অপরকে আরও ভালভাবে জানি- আমার ক্ষত শুকিয়ে গিয়েছে। আমাদের সম্পর্ক খুবই স্বচ্ছ।” পরেশ আরও বলেন যে, তিনি সম্প্রতি প্রিয়দর্শনের বলিউড কামব্যাক ভূত বাংলার শ্যুটিংও শেষ করেছেন।” এই জুটি একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন এবং ‘হেরা ফেরি ৩‘ তাঁদের একসঙ্গে ১৫তম ছবি হতে চলেছে।
পরেশ একবার বলেছিলেন যে, হেরা ফেরি সিরিজে বাবুরাও গণপতরাও আপ্তের চরিত্রে অভিনয় করতে করতে তিনি অসুস্থ এবং ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। কথা উঠেছিল বাবুরাওকে নিয়ে একক ছবি তৈরির। “আমরা (প্রিয়দর্শন এবং আমি) বাবুরাওয়ের কোনও স্পিন-অফ নিয়ে আলোচনা করিনি। ছবি হল একটি যৌথ প্রচেষ্টা। ছবি সবার সহযোগিতায় তৈরি হয়। আমার মনে হয় না বাবুরাও একা থাকতে পারে। কারণ শ্যাম এবং রাজুরও প্রয়োজন হবে,” জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে তিনি মন্তব্য করেন।
অভিনেতা আরও যোগ করেন, “আমি লোভী অভিনেতা নই। আমি বোকাও নই। আমি এমন কেউ নই যে ধরে নেয় যে দুনিয়া আমার জন্যই চলে। এমনকি যদি কোনও দিন একটি স্বতন্ত্র ছবি তৈরিও হয়, শ্যাম এবং রাজুকেও সেখানে থাকতে হবে।”
তিনি জানান যে, যখন তাঁরা ফির হেরা ফেরি তৈরি করছিলেন, তখন অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়েছিলেন। “এটা হওয়া উচিত ছিল না। হেরা ফেরির মতো চরিত্রগুলি খুব কমই আমাদের কাছে আসে। ওদের নিয়ে তাই খুব সাবধানে চলা উচিত। এর পবিত্রতা হরণ করা উচিত নয়। যখন আমি ফির হেরা ফেরির ডাবিং করছিলাম, তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমরা কত বড় পাপ করে ফেলেছি। আমরা সেই ছবিতে যা-তা করেছি, কিন্তু আমাদের তা করা উচিত হয়নি।”