তাঁর সঙ্গে পাওলি প্রথম কাজ করেন ২০০৮-এ৷ দূরদর্শনের জন্য দু’টি পর্বে বুদ্ধদেবের পরিচালনায় অভিনয় করেছিলেন তিনি ৷ তিনি সেটে থাকলে বাকিদের শিক্ষার্থীর ভূমিকায় থাকা ছাড়া আর কোনও কাজ নেই ৷ এখনও সেই স্মৃতি স্পষ্ট পাওলির মনে ৷ ভালবাসতেন লং শট নিতে ৷ চাইতেন, কুশীলবরাও তাঁর পছন্দমতো লং শটে কাজ করুন ৷ পাওলির আনন্দ, একদিনের জন্যও তাঁকে তিরস্কৃত হতে হয়নি ৷ এক কথায়, তাঁর মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা অনন্য ও অনবদ্য ৷
advertisement
বুদ্ধদেবের পরিচালনায় পাওলি আবার কাজ করেন ২০১৬ সালে, ‘টোপ’ ছবিতে ৷ সে সময় শুধু শিক্ষক-শিক্ষার্থী নয়, বরং বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক হয়ে উঠেছিল বন্ধুর মতো ৷ ছবি, শিল্প, জীবন থেকে খাবারদাবার—সব বিষয়েই দু’জনের লম্বা আড্ডা চলত ৷ তাঁর রসবোধ মুগ্ধ করেছিল পাওলিকে ৷
আর একটি বিশেষ ঘটনা ভুলতেই পারেন না পাওলি ৷ ‘টোপ’ ছবির সময় তাঁকে ডায়েটিং থেকে বেরিয়ে সবরকম খাবার খেতে অনুমতি দিয়েছিলেন পরিচালক ৷ কারণ তিনি জানতেন ভাল খাবার খেতে পাওলি কত ভালবাসেন ৷ তেলমশলাবিহীন খাবার খেয়ে থাকা যে কী যন্ত্রণাময়, সে কথাও তিনি বুঝতেন ৷ লিখেছেন পাওলি ৷
বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর ছবি দেখেই তিনি বড় হয়েছেন ৷ তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে তিনি উচ্ছ্বসিত ছিলেন, লিখেছেন পাওলি ৷ তাঁর মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার বিরল সুযোগ পেয়ে পাওলি ধন্য ৷ সে কথা জানাতেও ভোলেননি তিনি ৷ তাঁর চলে যাওয়া বিশ্ব জুড়ে সকল সিনেমাপ্রেমীদের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি ৷ মনে করেন ‘টোপ’-এর কিশোরী মুন্নির মা ৷
