বর্ষীয়ান শিল্পী বিজয় কিচলু দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর কোমর্বিডিটি, হার্টের সমস্যা এবং নিউমোনিয়ার সমস্যা ছিল। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে হৃদজনিত সমস্যা নিয়ে দু' সপ্তাহের জন্য এই হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার ফের সমস্যা শুরু হয়। তখনই তাঁকে তড়িঘড়ি করে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। তবে সেখানে আর শেষ রক্ষা হয়নি। ৯৩ বছরেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: সবাইকে কাঁদিয়ে বিদায় নিলেন ইউটিউবার, অমিতের লড়াই চমকে দেবে আপনাকেও! রইল ভিডিও
শিল্পীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ‘বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী পণ্ডিত বিজয় কিচলুর প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি।…. অগণিত নবীন শিল্পী তাঁর প্রশিক্ষণে আজ লব্ধ প্রতিষ্ঠ। তাঁর প্রয়াণে সংগীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল।’
আরও পড়ুন: অতীতে বলিউড কাঁপানো নায়ক আজ সুফী সাধক! দেখুন তো চিনতে পারেন কি না
সঙ্গীত জগতের অন্যতম নাম পণ্ডিত বিজয় কিচলু। পদ্মশ্রী- র পাশাপশি সঙ্গীত নাটক আকাদেমি- সহ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন শিল্পী। সঙ্গীত রিসার্চ অ্যাকাডেমি তৈরিতে তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৩০ সালে বর্তমানের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের আলমোরায় জন্ম গ্রহণ করেন পণ্ডিত বিজয় কিচলু। প্রথমে নাথু রাম শর্মার কাছে তালিম নেন তিনি। তারপর মইনুদ্দিন দাগর ও আলিমুদ্দিন দাগরের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। আগ্রা ঘরানার সংগীতেরও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন পদ্মশ্রী সম্মানপ্রাপ্ত এই শিল্পী।
শাস্ত্রীয় সংগীত জগতে বিজয় কিচলুর নাম প্রথম সারিতে আসে। তাঁর হাত ধরেই তৈরি হয়েছে আইটিসি মিউজিক অ্যাকাডেমি। প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি এই অ্যাকাডেমির প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। শুধু তাই নয়, সংগীত রিসার্চ অ্যাকাডেমিরও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন পণ্ডিত বিজয় কিচলু।