৭০-এর দশকে অ্যানড্রয়েড মোবাইল কিংবা ইন্টারনেট সম্পর্কে জানতেন না অধিকাংশ মানুষ। সেই সময় আসেনি বড় স্ক্রিন মোবাইলের যুগ। দেওয়ালজোড়া বড় টিভির জমানাও শুরু হয়নি৷ বিনোদনের মাধ্যম ছিল মূলত বেতার এবং থিয়েটার৷ থিয়েটারের সঙ্গেই মেদিনীপুরের গ্রাম-গঞ্জে পাড়াগাঁয়ে অনুষ্ঠিত হতো যাত্রাপালা, নাটক, কবিগান, বাউল।
পাশ থেকে সংলাপ বলা এবং সেই সংলাপ আওড়ে হেসে কেঁদে মানুষের মনোরঞ্জনের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠেছিল এই থিয়েটার। জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা, শালবনি, চাঁদড়া, পিংলা, সবং, ঘাটাল, দাসপুরে সেই সময় থিয়েটারে ভিড় জমাত হাজার হাজার মানুষ৷ কেবল একবার কলাকৌশলীদের অঙ্গভঙ্গি অভিনয় দেখার জন্য।এমনকি বড় বড় মঞ্চ গড়ে তোলা হয়েছিল এই থিয়েটারের জন্য।যেখানে কালো পর্দার পাশাপাশি অডিও ভিস্যুয়াল যাতে ভাল আসে তার জন্য মাইক সিস্টেম ব্যবহার করা হতো।
advertisement
কিন্তু সময়ের সঙ্গে এবং যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে থিয়েটার আর এগোতে পারেনি।আস্তে আস্তে বেতার তরঙ্গ ছেড়ে অডিও ভিস্যুয়াল চ্যানেল টিভি এবং পরবর্তীকালে সেই টিভির দৌলতে আস্তে আস্তে আরও আপডেটেড হয়ে আজকে এন্ড্রয়েড মোবাইল। বর্তমানে ফাইভ-জি তে অভ্যস্ত হয়েছে এই জনজীবন।একসময় বড় বড় স্ক্রিনের আজ অবলুপ্তি ঘটেছে। চলে এসেছে হাতের মুঠোয় ছোট স্ক্রিন এবং এরই সঙ্গে সিনেমা।
আরও পড়ুন: খুলে গেল উপার্জনের নতুন পথ, গ্রামের এই মহিলারাও এবার আয় করবেন মোটা টাকা
বড় সিনেমার অবলুপ্তি ঘটিয়ে ওটিটি প্লাটফর্মে মুক্তি পাচ্ছে ছোট ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজ। ফলে হারিয়েছে থিয়েটার, হারিয়ে যাচ্ছেন থিয়েটারের কলাকৌশলীরা। কিন্তু এখনও প্রবীণ সেই কলা কুশলীরা থিয়েটারের সেই স্মৃতি আঁকড়ে অভিনয় করে চলেছেন। তবে থিয়েটার যাদের পেশা ছিল তারা আজ পেশা বদল করতে বাধ্য হয়ে। অনলাইনে দুনিয়ায় আদৌ কি আর যৌবন ফিরে পাবে থিয়েটার? আশা ক্ষীণ সকলের
Ranjan Chanda