এই বিশৃঙ্খলার বিষয়ে নোরা লিখেছেন যে, “আমি লস অ্যাঞ্জেলসে ছিলাম। ভয়ঙ্কর দাবানল। আমি এর আগে এমন কিছুই কখনও দেখিনি। এটা অস্বাভাবিক। আমরা পাঁচ মিনিট আগে জায়গা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ পেয়েছি। তাই আমি দ্রুত নিজের সমস্ত জিনিস প্যাক করেছি। আর আমি এখান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছি। আমি এখন বিমানবন্দরের কাছে যাব। সেখানেই থাকব। কারণ আমার আজ উড়ান রয়েছে। আমি আশা করি যে, উড়ান ধরতে পারব আমি।”
advertisement
নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করে নোরা বলে চলেন যে, “আমার আশা উড়ান বাতিল হবে না। কারণ এখানে খুবই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। বন্ধুরা আমি আপনাদের আপডেট দিতে থাকব। আমি আশা করি, মানুষ নিরাপদে থাকুক। আমি এমন কিছু আগে কখনওই দেখিনি।” শুধু নোরা নন, লস অ্যাঞ্জেলসের এই দাবানল নিয়ে সরব হয়েছিলেন অন্যান্য তারকারাও। আগে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ইনস্টাগ্রামে নিজের মত প্রকাশ করেছিলেন। এমনকী যাঁরা এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন অভিনেত্রী। নিজের পোস্টে প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন যে, “যাঁরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন, তাঁদের পাশে রয়েছি আমি। আশা করি, আজকের রাতটা আমরা সকলেই নিরাপদে থাকতে পারব।” এর পাশাপাশি একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী। যেখানে ফুটে উঠেছে দাবানল পরিস্থিতির ভয়াবহতা।
আরও পড়ুন: ফ্যাটি লিভার হতে মদ খেতে হয় না, আর একবার হলে সাবধান হতেই হবে! ১২টা বাজার আগে জানুন ডাক্তারের মতামত
লস অ্যাঞ্জেলস দাবানলের পরিস্থিতি খুবই আশঙ্কাজনক। যার জেরে এলাকার অসংখ্য বাসিন্দাকে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছে। এমনকী জেমি লি কার্টিস, ম্যান্ডি মুর এবং প্যারিস হিলটনের মতো তারকারাও বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়য়েছেন। এই দাবানলে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫ জন। ইতিমধ্যেই প্রায় হাজার দেড়েক বিল্ডিং বিধ্বংসী আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছে। এলাকা ছেড়ে যেতে হয়েছে প্রায় এক লক্ষেরও বেশি বাসিন্দাকে।
হু-হু করে ছড়িয়ে পড়ছে দাবানল। যা সামাল দিতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। আসলে আগুন খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে। যা পৌঁছে গিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার সবথেকে অভিজাত এলাকাগুলিতে। লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টি ফায়ার চিফ অ্যান্টনি ম্যারোনি এই পরিস্থিতিকে অপ্রতিরোধ্য বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর টিম এই বিপর্যয়ের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সকালে নতুন করে দাবানল ছড়িয়েছিল হলিউড হিলসে। এর সংলগ্ন এলাকারেই রয়েছে ওয়াক অফ ফেমের মতো কিংবদন্তি স্থান। ঐতিহাসিক এই জায়গায় সঙ্গে সঙ্গে এলাকা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ জারি হয়। এদিকে আগুন নেভানোর জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন দমকলকর্মীরা।