কথা হচ্ছে, জনপ্রিয় তেলুগু অভিনেত্রী নির্মালাম্মার। এক হাজারেরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। বেশিরভাগ ছবিতেই ঠাকুমা-দিদিমার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। এমনকী, ভক্তরা তাঁকে দক্ষিণী ছবির দুনিয়ার ঠাকুমা বলে ডাকেন। নির্মলাম্মার জন্ম ১৯২০ সালের ১৮ জুলাই। এরপর ২০০৯ সালের ১৮ জুলাই প্রয়াত হয়েছিলেন তিনি। নিজের জীবনের দীর্ঘ সময়টা তিনি রুপোলি পর্দাকেই দিয়েছিলেন। বহু দশক ধরে অভিনয় করে গিয়েছেন। প্রযোজক হিসেবও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন।
advertisement
১৯৪৩ সালের ‘গরুড় গর্ভভঙ্গম’ ছবির হাত ধরে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন নির্মলাম্মা। একজন অভিনেত্রী হিসেবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। এরপর একাধিক চরিত্রে অভিনয় করে রীতিমতো খ্যাতির শিখরে উঠে গিয়েছিলেন। নিজের অভিনীত চরিত্রের মাধ্যমে এক অদম্য ছাপ রেখে গিয়েছেন তিনি।
শুধুমাত্র তেলুগু ছবিতেই নয়, নির্মলাম্মা একাধিক ভাষার ছবিতে অভিনয় করে গিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে তামিল, হিন্দি, মালয়ালম এবং কন্নড় ছবি। ভারতের অন্যতম সেরা অভিনেত্রীদের তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ছবির জন্য কাজ করেছেন নির্মলাম্মা। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি ‘চালাকি মোদুগু চদ্দাসথাপ্পু পেল্লাম’-এর মতো ছবি প্রযোজনা করেছেন। এই ছবিতে নায়কের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল রাজেন্দ্র প্রসাদ। নিজের কেরিয়ারে তিনি দুটি নান্দি পুরস্কার জিতেছিলেন।
নির্মলাম্মার ব্যক্তিগত জীবনের দিকে আলোকপাত করা যাক। আদতে অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা তিনি। প্রোডাকশন ম্যানেজারের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তিনি। তবে নিঃসন্তান ছিলেন এই দম্পতি। সেই কারণে কবিতা নামে এক কন্যা দত্তক নিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের নাতি বিজয় মদালা একজন অভিনেত্রী। তিনি ‘পদমাথা সন্ধ্যারাগম’ ছবিতে কাজ করেছেন।
শুধু তেলুগু ছবিতেই নয়, নির্মলাম্মা হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেছেন। রামগোপাল ভার্মার ‘রাত’ ছবিতে কাজ করেছেন। যেটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯২ সালে। এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী রেবতীকে।