সকলের সামনে ছিলেন ভাই-বোন, অথচ তলে তলে চলছিল প্রেমের সম্পর্ক...! কিন্তু সত্যিটা স্ত্রী-র সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হল কাদা ছোড়াছুড়ি
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
এ গল্প যেন স্বামী, স্ত্রী আর তাঁদের মধ্যে ঢুকে পড়া তৃতীয় মানুষের! আসলে তিন ইউটিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এভাবেই নিজের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করেছেন। তিন জনের মধ্যে বিতর্ক এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, একে অপরের বিরুদ্ধে কার্যত শুরু হয়েছে কাদা ছোড়াছুড়ি।
এ গল্প যেন স্বামী, স্ত্রী আর তাঁদের মধ্যে ঢুকে পড়া তৃতীয় মানুষের! আসলে তিন ইউটিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এভাবেই নিজের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করেছেন। তিন জনের মধ্যে বিতর্ক এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, একে অপরের বিরুদ্ধে কার্যত শুরু হয়েছে কাদা ছোড়াছুড়ি। আজকের প্রতিবেদনে বলা যাক, সচিন-মণীশা এবং নেহার মধ্যে হওয়া বিতর্কের বিষয়ে। News 18-এর বিশেষ সিরিজে ইউটিউবার্স কা রৌলা-য় এই ঘটনায় তুলে ধরা যাক। কিন্তু এই তিনজন কে? যাঁদের নিয়ে এত বিতর্ক শুরু হয়েছে? আর তাঁদের নিয়ে এক ঝগড়া-ঝামেলার কারণটাই বা কী? (Photo-Insta@tashi_ki_mumma/ersachinraj)
advertisement
তিন জনের মধ্যে যখন ঝামেলা শুরু হয়, তখন নেটিজেনদের ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের। এমনকী, নেটিজেনরা তাঁদের ঝামেলাকে ‘নিব্বা-নিব্বির ঝামেলা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। অনেকের মতে, খ্যাতির লোভে এমনটা করছেন তাঁরা। আবার কেউ কেউ তো তিনজনের উদ্দেশ্যে শাপ-শাপান্তও করেছেন। বলে রাখা যাক যে, সচিন, মণীশা এবং নেহা তিন জনেই ইউটিউবার। হামেশাই তাঁরা ভ্লগ এবং রিল শেয়ার করে থাকেন। ইউটিউবটাই তাঁদের মূল পেশা। আর এখান থেকে তাঁরা লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন।
advertisement
সচিন এবং মণীশা বিবাহিত। তাঁদের চ্যানেলের নাম ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস সচিন রাজ’। এদিকে নেহা আশিস তিওয়ারিও একজন নামকরা ইউটিউবার। তাঁর চ্যানেলের নাম ‘নেহা আশিস তিওয়ারি ভ্লগস’। তাঁর নিজস্ব বুটিকের ব্যবসাও রয়েছে। তাঁর দাদা এবং বৌদিও বাড়িতে ভিডিও বানান। টিকটকের সময় থেকেই ভিডিও বানাচ্ছেন নেহা। নিজের স্বামীর সঙ্গেই ভিডিও বানাতেন তিনি। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর নিজের বাপের বাড়িতেই চলে আসেন নেহা। তাঁর এক কন্যা রয়েছে, যার নাম তাশি। বর্তমানে মা-বাবা, দাদা-বৌদির সঙ্গে বাবার বাড়িতেই থাকেন নেহা।
advertisement
তিন জনের মধ্যে এবার শুরু হয়েছে ঝামেলা। আসলে সচিন আর নেহার মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে দেখে সেটা মেনে নিতে পারছেন না মণীশা। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তিনি। আসলে নেহা আর সচিন ভাই-বোনের মতো ছিলেন। বিভিন্ন পার্টি, অনুষ্ঠানে মাঝেমধ্যেই দেখা হত তাঁদের। স্ত্রী অভিযোগ আনার পরেই সচিন একটি ভিডিও পোস্ট করে নেহার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন সচিন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে ঝামেলা।
advertisement
এমনকী, নেহার সঙ্গে চ্যাটের স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছেন সচিন। যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, নেহা তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছেন। নেহাকে তিনি দিদি ডাকতেন। আর নেহা না কি বলতেন যে, তিনি সচিনের স্ত্রী হতে চান। শুধু তা-ই নয়, সচিন নিজের চ্যানেলে লাইভ করে নেহার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন। তাঁর দাবি, মণীশার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর জন্য দায়ী নেহাই, এমনকী তাঁদের পরিবার পরিকল্পনা করতেও নিষেধ করেছেন।
advertisement
অন্যদিকে নেহা ভিডিও পোস্ট করে সচিনের পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। সচিনের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান যে, ওঁরা তাঁর পরিবারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছেন। এমনকী বিষয়টা এতদূর পর্যন্ত গড়িয়েছে যে, নেহার মা ভিডিও-য় এসে সচিনের বিরুদ্ধে শাপ-শাপান্ত করেছেন। ভিডিও-য় নেহাকে কাঁদতে দেখা গিয়েছে। বর্তমানে অবশ্য তাঁদের ঝামেলা থেমেছে। সচিন আর মণীশার মধ্যে সব ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছে।
advertisement
বহু বছর পর নতুন জীবন শুরু করেছেন নেহা তিওয়ারি। সুমিত নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু এই বিতর্ক সামনে আসায় বাগদান ভেঙে গিয়েছে নেহার। ইউটিউব ভিডিও নিজের জীবনের গল্প বলতে গিয়ে সচিন বলেন যে, অম্বালা থেকে বি.টেক করেছেন তিনি। এরপর সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউবে কেরিয়ার শুরু করেছেন। ২০২০ সালে মণীশার সঙ্গে বিয়ে হয় সচিনের। এরপর দু’জনে একসঙ্গে ভিডিও বানাতে শুরু করেন।