নির্মলা মিশ্রের বাবা ছিলেন, পণ্ডিত মোহিনীমোহন মিশ্র। বিয়ের পর গায়িকার পদবী হয় দাশগুপ্ত, 'মিশ্র' তাঁদের পাওয়া পদবী। তাঁর বাড়িতেই ছিল গানের চর্চা।
আরও পড়ুন: নির্মলা মিশ্রের ডাকনাম ছিল 'ঝামেলা'! একদিনও ঝামেলা করতে দেখিনি: ইন্দ্রনীল সেন
এই বয়সেও বিভিন্ন অসুস্থতা থাকা সত্ত্বেও নির্মলা মিশ্রকে শেষবার দেখার জন্য রবীন্দ্রসদনে ছুটে গিয়েছিলেন পূর্ণদাস বাউল। তিনি জানান, "ওঁ আমার চেয়ে ছোট ছিল। আমি ওঁর অভিভাবকের মতো ছিলাম। ওঁর আগে আমি সংগীত জগতে এসেছিলাম। আমি সত্তর বছর ধরে গানের জগতে, নির্মলা ৫০-এর একটু বেশি। তবে ওঁর সঙ্গে আমার জেনরেশন গ্যাপ আসেনি, গান নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। এইরকম মানুষ, হাসিখুশি ব্যবহার আর পাইনি। ওঁর সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে, চাইলে একটা বই লেখা হয়ে যাবে।"
advertisement
আরও পড়ুন: তিনটে করে আইসক্রিম খেয়ে স্টেজে গান গাইতে উঠতেন নির্মলা মিশ্র: অজয় চক্রবর্তী
'নির্মলা মিশ্র'দের মৃত্যু হয় না। তাঁরা পার্থিব শরীর নিয়ে চলে যান, কিন্তু তাঁদের গান রয়ে যায়। তাঁদের যে সুরেলা সফর ছিল, তার শেষ হয় না, দ্য শো মাস্ট গো অন... প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম রয়ে যাবে তাঁর গান।
নির্মলা মিশ্রের প্রয়াণে শোকবার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী নির্মলা মিশ্রের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি গভীর রাতে কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে কণ্ঠের জাদুতে তিনি শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রেখেছিলেন।' রবিবার কেওড়াতলা মহাশ্মশানেই শিল্পীর শেষকৃত্য।
Manash Basak