অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব দেবশঙ্কর হালদার, পুর্বপশ্চিম-এর পরিচালক শ্রী সৌমিত্র মিত্র এবং খ্যাতনামা নাট্যকার শ্রী উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্টজনেরা। স্বপ্ন ও বাস্তবের মায়াজালে গাঁথা এই নাটকটিতে এক তরুণের অতীতের সঙ্গে বাস্তবের আবেগময় যাত্রা তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুনThe Family Man Series 3: আসছে তৃতীয় সিজিন, ফের OTT কাঁপাবেন মনোজ বাজপেয়ী, সঙ্গে থাকছে আরও চমক…
advertisement
ব্রাত্য বসুর স্বতন্ত্র নাট্যভাষার ধারাবাহিকতায় নাটকটি একদিকে যেমন মন ছুঁয়ে যাওয়া বাস্তবতার ছবি আঁকে, তেমনই অন্যদিকে কবিতার মতোও মনে হতে পারে। যেখানে বদলে যাচ্ছে একের পর এক ছুঁয়ে থাকা মুহূর্তরা। “পুরনো ট্রাঙ্ক” একটি শিশুমনস্ক নাটক তবে এটি শিশুদের জন্যে হলেও প্রাপ্তবয়স্করাও সমানভাবে উপভোগ করবেন এই নাটকটি,” এমনই মন্তব্য করেন ব্রাত্য বসু।
এদিন সন্ধ্যায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল তা হল বর্ষীয়ান নাট্যব্যক্তিত্ব শ্রী গৌতম মুখোপাধ্যায়কে তরুণ নাট্যপরিচালক হিসেবে সম্মান দেওয়া। রাকেশ ঘোষের হাতে সংবর্ধনা তুলে দেওয়া হয় নাট্যব্যক্তিত্ব শ্রী গৌতম মুখোপাধ্যায়কে।এদিন নাট্যকার শ্রী উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই নাটক আমাদের সম্মিলিত চেতনার এক প্রতিচ্ছবি। ব্রাত্য বসুর ভাবনা কেবল মঞ্চেই সীমাবদ্ধ নয় এটি শিল্প, আত্মবিশ্লেষণ ও সামাজিক বক্তব্যের এক অনন্য সমন্বয়।” এভাবেই অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের মঞ্চেপ্রশংসিত হয়েছে এই নাটকটি। মঞ্চে দর্শকেরা আসনে বসে থাকা মানুষগুলো মুগ্ধ হল, নাটকের পর্দা নামল। তবে নাটক শেষ হওয়ার পরেও ‘পুরনো ট্রাঙ্ক’-এর প্রভাব থেমে নেই। এটি যে আগামিদিনেও কলকাতার সাংস্কৃতিক পরিসরে তার ছাপ রেখে যাবে, তা আর বলার অবকাশ থাকে না।
