পরবর্তীতে পিতৃবন্ধু পণ্ডিত কিষেণ মহারাজের সান্নিধ্যেও সমৃদ্ধ হয়েছে তাঁর সঙ্গীতানুরাগ৷ সমৃদ্ধ হয়েছে জলসাঘর-ও৷ নানা প্রজন্মের, বিভিন্ন ঘরানার শিল্পীরা এই মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন৷ আরও বলিষ্ঠ হয়েছে ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীত ও সংস্কৃতির বিজয়কেতন৷
সেই লব্ধপ্রতিষ্ঠ ‘জলসাঘর’ শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি পথ চলা শুরু করল নিউটাউনে৷ উপনগরীর কিছু সঙ্গীতপ্রেমীর উদ্যোগে মাঘের এক সন্ধ্যা ঝঙ্কৃত হল ধ্রুপদী সঙ্গীতের সুরে৷ রবীন্দ্রতীর্থের প্রেক্ষাগৃহে সেই সুরসন্ধ্যার উদ্বোধন করেন স্বামী বিশোকানন্দ মহারাজ৷
advertisement
আরও পড়ুন : অনাথ হাতি রঘুর সঙ্গে তার মানুষ-দোসরদের সম্পর্কেই বাজিমাত! অস্কারের মঞ্চে এ বার 'দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল ডক্টর সৌরজা ঠাকুরের ভরতনাট্যম৷ তাঁর অপূর্ব নৃত্যশৈলীতেই হল অনুষ্ঠানের নান্দীমুখ৷ এর পর ছিল পণ্ডিত তন্ময় বোসের তবলাবাদ্য৷ তাঁর সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করেন পুবারুণ বসু এবং সৌম্যদীপ দাস৷ হারমোনিয়ামে ছিলেন পণ্ডিত হিরন্ময় মিত্র৷
তবলালহরীর পর দর্শক-শ্রোতাদের জন্য অপেক্ষা করে ছিল পণ্ডিত মোহন সিংয়ের কণ্ঠে ধ্রপদী সঙ্গীত৷ তার পরের সময়টুকু সম্পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহই তাঁর কণ্ঠমাধুর্য ও গায়কীর সাম্পানে পাড়ি দিল সপ্তসুরের লোকে৷ শিল্পীর সঙ্গে তবলায় সঙ্গত করেন পণ্ডিত তিমির রায়চৌধুরী৷ সারেঙ্গীতে ছিলেন উস্তাদ সারওয়ার হুসেন এবং তানপুরায় সুতনু সিনহা ও অর্চুত বেহেরা৷
অনুষ্ঠানের শেষে ছিল কেডিয়া বন্ধুর যুগলবন্দি৷ পণ্ডিত মোর মুকুট কেডিয়ার সেতার এবং পণ্ডিত মনোজ কেডিয়ার সরোদের মুর্ছনায় মন্ত্রমুগ্ধের মতো আবিষ্ট হয়ে যান দর্শক তথা শ্রোতারা৷
ধ্রুপদী সঙ্গীতের এই আসরের শরিক হতে পেরে নিউটাউনবাসীরা একইসঙ্গে গর্বিত ও আনন্দিত৷ উপস্থিত দর্শকদের ইচ্ছে, কলকাতার কাছেই এই উপনগরে জলসাঘরের পথ চলা সুদীর্ঘ হোক৷
( ছবি : নিউটাউন জলসাঘর)