রিয়া চক্রবর্তী ছাড়াও এই চার্জশিটে নাম রয়েছে তাঁর ভাই শৌভিকের৷ চার্জশিটে স্পষ্ট অভিযোগ করা হয়েছে, ভাই শৌভিক এবং অন্যান্য কয়েকজন সহকর্মীর থেকে পাওয়া গাঁজা সুশান্তকে দিতেন রিয়া৷ এনসিবি-র অভিযোগ, কোনও বৈধ লাইসেন্স ছাড়াই এই অভিযুক্তরা বলিউড সহ সমাজের বিত্তশালীদের মধ্যে ড্রাগ সরবরাহ করতেন৷
আরও পড়ুন: সুশান্তের মৃত্যুদিনে আবেগঘন সারা, কী লিখলেন ইনস্টাগ্রাম পোস্টে?
advertisement
তবে শুধু রিয়া বা তাঁর ভাই শৌভিক নন, সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানির বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে এনসিবি-র চার্জশিটে৷ অভিযোগ, সিদ্ধার্থের মাধ্যমেই ২০১৮ সাল থেকে মাদক সেবন শুরু করেন সুশান্ত৷ সিদ্ধার্থকেই সুশান্তের চরম মাদকাসক্তির জন্য দায়ী করেছে এনসিবি৷ এ ছাড়াও সুশান্তের দুই কর্মীরও নাম রয়েছে চার্জশিটে৷ এদের সবার মাধ্যমেই ড্রাগ পৌঁছে যেত সুশান্তের হাতে৷
চার্জশিটে দশ নম্বরে নাম রয়েছে রিয়া চক্রবর্তীর৷ অভিযোগ, স্যামুয়েল মিরিন্ডা, দীপেশ সাওয়ান্ত সহ বেশ কয়েকজনের থেকে গাঁজা পেতেন রিয়া৷ গাঁজার দাম মেটাতেন সুশান্ত অথবা রিয়ার ভাই শৌভিক৷
আরও পড়ুন: 'রাবতা ফ্লপ করার পর অবসাদে চলে গিয়েছিলাম আমি ও সুশান্ত, সেদিন ওয়াইন খেয়েছিলাম!'
চার্জশিটে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, রিয়ার ভাই শৌভিকের সঙ্গে মাদক পাচারকারীদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল৷ গাঁজা, চরসের মতো মাদক নিয়মিত সুশান্তের কাছে পৌঁছে দেওয়া হত বলেও অভিযোগ করা হয়েছে৷
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুজো সামগ্রীর নামে সুশান্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেই মাদক কিনতেন সিদ্ধার্থ৷ চার্জশিটে নাম রয়েছে অর্জুন রামপালের বান্ধবীর ভাই অ্যাজিসিলাওস ডেমেত্রিয়েডস-এর৷ অভিযোগ এক নাইজেরীয়র থেকে কোকেন কিনেছিলেন তিনি৷ এই চার্জশিট আদালতে জমা দেবে এনসিবি৷ তার পরে তদন্তকারী সংস্থা এবং অভিযুক্তদের বক্তব্য শুনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আদালত৷