শিলাজিৎ লিখছেন, "একবার ই বোধ হয় দেখেছিলাম। হ্যাঁ দেখেছিলাম, পড়িনি শুধু, দেখেছিলাম দুই পুচকে মাস্তান বাঁটুল দ্য গ্রেট কে একটু জব্দ করেছিল। বাঁটুল এর সর্দি হওয়ায় দুই মাস্তান একটা টাঙা গাড়ীর পেছনে পাল লাগিয়ে বাঁটুল এর হাঁচির ধাক্কা পাল লাগিয়ে বেশ খানিকটা ফুর্তি করেছিলো গাড়ি চড়ে। বাঁটুল একটা সাইকেল এ করে যাচ্ছে ওই গাড়ীর পেছনে।ওর হাঁচির ধাক্কা লাগছে পালে, তরতরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে গাড়ি। আপনি চলে গেলেন। কিন্তু,আপনি রয়ে গেলেন। যতদিন আমি বেঁচে থাকবো ততদিন তো বটেই।"
advertisement
শিলাজিৎ তাঁর পোস্টে এর পর লিখছেন, "রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম এর টিমটিমে বই এর দোকানে ইংলিশ বই এর দাপটের মধ্যে, বা চলন্ত ট্রেন এর হকার ভাই এর দু হাতে জাপটে ধরা লক্ষ্মীর পাঁচালি, ধাঁধা রান্নার বই এর মধ্যে খুঁজব। আমার ছোটবেলাকে। আপনার যে কোনো পুরনো সৃষ্টি ও আবার নতুনই লাগবে। মনে হবেই হবে। এই তো সবে বেরোলো বুঝি। নারায়ণ দেবনাথ এর টাটকা একটা হাঁদা ভোঁদা বা নন্টেফন্টে ,কেলটুদা।" সবশেষে তিনি লিখছেন, "দারুন একটা ছবি পেলাম ভট্টবাবুর পেজ থেকে ।। এত মন ছুঁয়ে গেল, অনুমতি ছাড়াই আমাদের পেজ থেকে সবাই কে দেখানোর লোভ সামলাতে পারলাম না।"
অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের (Saswata Chatterjee) ইনস্টাগ্রামে পোস্টেও তাঁর শৈশবের কথা উঠে এসেছে। কীভাবে তাঁর শৈশব জুড়েও নারায়ণ দেবনাথ (Narayan Debnath) ছিলেন, লিখেছেন শাশ্বত। অভিনেতা লিখছেন, "তিঁনি ছিলেন আমাদের এবং কয়েক প্রজন্মের ছোটবেলার সাথী ... তাঁর সৃষ্টি আমাদের কাছে অমর থাকবে"।
আরও পড়ুন- নন্টে, ফন্টে, হাঁদা, ভোঁদা-বাঁটুলকে রেখে চলে গেলেন স্রষ্টা, প্রয়াত নারায়ণ দেবনাথ
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ১০.১৫ মিিনটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি শিল্পী (Narayan Debnath)। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার বেলভিউ হাসপাতালে প্রয়াত হন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন সাহিত্যিক। মূলত বয়সের জেরে হওয়া অসুস্থতার জন্যই গত ২৪ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে।