গত ২০২১ সালের ২ অক্টোবর নাগার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছিলেন সামান্থা। তার পর থেকে নানা রকম জল্পনা চলেছিল। তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে বেড়াতে শুরু করেন ভক্তরা। আর সেখান থেকেই সামান্থার শ্বশুরবাড়ি সম্পর্কে কিছু গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। দক্ষিণী সুপারস্টার নাকি ছেলের স্ত্রীকে সব রকমের স্বাধীনতা দিতে রাজি ছিলেন না। ছবিতে খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় নিয়েও নাকি তাঁর আপত্তি ছিল। যদিও সে সব আদৌ সত্যি কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত খবর মেলেনি।
advertisement
তার পরে শোনা যাচ্ছে, প্রাক্তন পুত্রবধূর অসুস্থতার কথা শুনে বেশ মন খারাপ নাগার্জুনের। তাই দেখা করতে যাবেন বলে ঠিক করেছেন। অন্য দিকে নাগার সৎ ভাই অখিল আক্কিনেনি কেবলমাত্র জনসমক্ষে সামান্থার দ্রুত আরোগ্যের প্রার্থনা করেছেন। পরিবারের তরফে আর কেউ কোনও কথা বলেননি প্রকাশ্যে।
আরও পড়ুন: আর একটা দিনও সহ্য হচ্ছে না, জটিল রোগে আক্রান্ত সামান্থা! বার্তা হাসপাতাল থেকে
সম্প্রতি সামান্থা ইনস্টাগ্রামে হাসপাতাল থেকে একটি ছবি দিয়ে অসুস্থতার কথা জানানোর পরেই চারদিকে এই রোগ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
মায়োসাইটিস কোনও নির্দিষ্ট অসুখ নয়৷ বরং অনেকগুলো বিরল শারীরিক জটিলতাকে বলে মায়োসাইটিস৷ এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে পড়ে৷ মায়োসাইটিসের প্রধান উপসর্গ হল মাংসপেশিতে যন্ত্রণা ও দুর্বলতা৷ যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে৷ এমনও হতে পারে আক্রান্ত ব্যক্তি হয়তো কিছুটা হাঁটার পর অত্যন্ত দুর্বল বোধ করতে পারেন৷ এ ছাড়াও অন্যান্য লক্ষণ হল দুর্বলতা, ক্লান্তিভাব, ত্বকে সংক্রমণ, হাতের ত্বক মোটা হয়ে যাওয়া, খেতে ও শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা, হাঁটতে কষ্ট, মাংসপেশির যন্ত্রণা এই অসুখের অন্যান্য লক্ষণ৷
সামান্থা তাঁর পোস্টে লিখেছিলেন, 'ভেবেছিলাম সেরে ওঠার পরেই এই খবরটা আপনাদের জানাব। কিন্তু যতটা ভেবেছিলাম, তার থেকে একটু বেশি সময় নিচ্ছে সারতে। আমি ধীরে ধীরে বুঝতে পারছি যে আমাদের সবসময় শক্ত থাকার দরকার নেই। এই দুর্বলতাকে গ্রহণ করতে শিখছি। তবে খুব শিগগিরই আমি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারব বলে আশাবাদী চিকিৎসকরা। ভাল দিন এবং খারাপ দিন, দুই রকমের সময় কাটিয়েছি... শারীরিক এবং মানসিকভাবে... এমনকি যখন মনে হয়েছে যে, আমি এর থেকে বেশি আর একটা দিনও সহ্য করতে পারছি না, সেই মুহূর্তটিও কোনওভাবে কেটে গিয়েছে।'