নিউজ১৮ বাংলাকে তিনি বললেন, "আমার সমসাময়িক সেই বন্ধু, সেই শিল্পী, যাঁর শিল্পও প্রশংসনীয়, মানবিকতাও। কী যে ভাল মানুষ ছিল ও। ভীষণ হাসিখুশি। 'হম দিল দে চুকে সনম' ছবিতে 'তড়প তড়প' গানটি শোনার পর আমরা কলকাতায় বসে বলাবলি করি, মুম্বইয়ে কেকে নামের একটি ছেলে খুব ভাল গান গাইছে। তার পরে ওর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় আমার।"
advertisement
দেবজ্যোতির কথায় জানা যায়, কেকে ফোন করলেই প্রথমে মজা করে গালিগালাজ করতেন, তার পর কথা শুরু করতেন। সেই মজাদার বাক্যালাপের কথা এখন কানে বাজছে দেবজ্যোতির।
মুম্বইয়ের মহালক্ষ্মীতে 'ওয়েস্টার্ন আউটডোর' স্টুডিওতে দেবজ্যোতির সুর দেওয়া গান গাইতে গিয়েছিলেন কেকে, শঙ্কর মহাদেবন এবং মহালক্ষ্মী আইয়ার। সে দিন প্রথম আলাপ কেকে-দেবজ্যোতির।
তাঁর কথায়, "স্টুডিওতে আমার সুরে গান রেকর্ডিং চলছিল। শঙ্কর, মহালক্ষ্মীর আগেই কেকে-র রেকর্ড করা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ও বেরিয়ে যায়নি। রেকর্ডিংয়ে সাহায্য করছে কখনও। আবার কখনও আমার সঙ্গে বসে মতামত দিচ্ছিল। সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারত কেকে। তবে ও একটা কথা বলত, 'এই ইন্ডাস্ট্রিটা গোলকধাঁধা। মাঝে মাঝে হারিয়ে যাই। তাই আজও আমার ছোটবেলার বন্ধুদের সঙ্গেই যোগাযোগ বেশি। কেকে-র সেই কথাটা মনে পড়ছে এখন।"
তার পরেও দেবজ্যোতির একাধিক সুরে গান গেয়েছিলেন কেকে। হরনাথ চক্রবর্তীর এই ছবিতেও একটি গান গেয়েছিলেন প্রয়াত গায়ক। সুর দিয়েছিলেন দেবজ্যোতি।
কলকাতায় এলেই দেবজ্যোতিকে যোগাযোগ করতেন কেকে। দেবজ্যোতি সেই বন্ধুর মৃত্যুর খবর পেলেন ফেসবুকে। দেবজ্যোতি বললেন, "তার পর থেকেই মনে হচ্ছে, এই জীবনকে আর বোধহয় খুব গুরুগম্ভীর দৃষ্টি দিয়ে দেখা উচিত নয়। ঘুরে বেড়াব, আড্ডা মারব, গানগল্প করে সময় কাটাব। জীবন এতটাই অনিশ্চিত।"
মৃত্যু ঘনিয়ে আসছে, তবুও শেষ গানে একটুও গলা কাঁপেনি কেকে-র। গানে গানে সুরে সুরে তিনি চলে গেলেন। মৃত্যুর আগে গাওয়া শেষ গান ছিল, 'হম রহে ইয়া না রহে কল...'