গোদারের 'কন্টেম্পট', 'ব্রেথলেস', 'আ ওম্যান ইজ আ ওম্যান', 'অলফাভিলে'- এই চারটি ছবি দেখানো হবে। জঁ লুক গোদারকে নিয়ে সত্যজিৎ রায় লিখেছিলেন, " প্রকৃত অর্থে আধুনিক শিল্পীদের সম্পর্কে পছন্দ হওয়া না হওয়া ধরনের কথা আমি প্রায় ব্যবহারই করি না। পাবলো পিকাসো, কুদ মিশেল, শনবর্গ অথবা ইউনিস ইউনেস্কো এই সমস্ত শিল্পীদের কি সত্যি আমরা পছন্দ করি? আমরা ভাবনার বিভিন্ন স্তরে এঁদের কাজ থেকে উদ্দীপ্ত হই, এঁদের গুণাগুণ আমরা বিচার করি সম্পূর্ণ মনন চিন্তনের পরিসরে। পছন্দ হওয়ার মধ্যে কোথাও যেন ইন্দ্রিয় গুলির কাছে সহজে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠার একটা দাবি থাকে।"
advertisement
আরও পড়ুন : রানির এই সঙ্কটে আরও একবার বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলেন শাহরুখ
গোদার সম্পর্কে নিজের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে গৌতম ঘোষ বলছেন," গোদারের সঙ্গে আমার দেখা হয় ৮২ সালে কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। সেখানে তাঁকে আমি জানাই কলকাতায় তাঁর ছবি দেখার উচ্ছ্বাসের কথা। তাতে গোদার তো হতবাক। প্রাথমিক পরিচয় হওয়ার পর আমি বলেছিলাম আমার ছবি, তোমার ছবি দেখার জন্য কলকাতায় কী অবস্থা, তাতে গোদার এক কথায় বললেন, দারুণ খবর তো এটা। ফ্রান্সে বসে ছবি বানালাম এতকাল, কিন্তু কোনওদিন এরকম উচ্ছ্বাস তো দেখলাম না! কলকাতায় আমার ছবি দেখার এই উচ্ছ্বাস যখন, কলকাতাতেই তবে এবারে ভাবছি সেটল করে যাব।" বিশ্ব সিনেমার মানচিত্রে তিনি নিজেই এক মহাদেশ। তিনি এক কিংবদন্তি।