সম্প্রতি প্রথম সারির এক বাংলা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় বলেন যে, নিজের কেরিয়ারের প্রথম দিনগুলিতে প্রচুর স্ট্রাগল করতে হয়েছিল অমিতাভ বচ্চনকে। যদিও সুপারস্টার হয়ে যাওয়ার পরে তিনি বদলে গিয়েছিলেন, আর সেই পরিবর্তনটাই চাক্ষুষ করেছেন বলে জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। তাঁর ইঙ্গিত, অমিতাভের এই পরিবর্তন একেবারেই ভালর জন্য ছিল না।
advertisement
মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “অমিতাভ প্রচুর স্ট্রাগল করেছেন। আর প্রচুর কঠোর পরিশ্রম করার পরেই তিনি এত বড় জায়গায় পৌঁছেছেন। কিন্তু ভালর জন্য যে উনি বড় হয়েছেন, সেটা আমি বলব না। আসলে আপনি যখন প্রচুর কিছু অর্জন করেন, তখন আপনার আচরণ একেবারেই বদলে যায়। আপনি অন্যদের সাহায্য করার কথা ভাবতেও পারবেন না। ওঁর ভাই অজিতাভ একটা গাড়ির ব্যবস্থা করতেন, যেটি অমিতাভ বচ্চনকে সেট থেকে নিতে আসত। উনি খুবই চুপচাপ প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। একাই বসে থাকতেন এবং কেশসজ্জার শিল্পীদের সঙ্গে লাঞ্চ করতেন।”
২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পিকু’ ছবিতে শেষ বার একসঙ্গে কাজ করতে দেখা গিয়েছিল অমিতাভ বচ্চন এবং মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে। সেই সময় হিন্দুস্তান টাইমস-এর কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন যে, একজন নবাগত হিসেবে কাজ করার বিষয়ে অমিতাভের যে উদ্যম, সেটা দেখেই আমার ভাল লেগেছে। মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “৭২ বছর বয়সে (২০১৫ সালে) এসেও অমিত একেবারে নবাগতদের মতোই। আপনি যদি ওঁকে ভোর ৬টায় প্রস্তুত থাকতে বলেন, তিনি একেবারে প্রস্তুত হয়ে যাবে। সময়জ্ঞান এবং শৃঙ্খলাজ্ঞান তাঁর মধ্যে রয়েছে।”
প্রসঙ্গত ১৯৬৭ সালে তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘বালিকা বধূ’-র হাত ধরে অভিনয় জগতে পদার্পণ করেছিলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। এরপর তাঁর ঝুলিতে এসেছে ‘পরিণীতা’ (১৯৬৯), ‘অনুরাগ’ (১৯৭২), ‘কচ্চে ধাগে’ (১৯৭৩), ‘জেহরিলা ইনসান’ (১৯৭৪), ‘রোটি কাপড়া অওর মকান’ (১৯৭৪), ‘বেনাম’ (১৯৭৪), ‘মঞ্জিল’ (১৯৭৯), ‘স্বয়ম্বর’ (১৯৮০), ‘পিয়াসা সাওয়ান’ (১৯৮১), ‘অঙ্গুর’ (১৯৮২) এবং ‘ঘায়েল’ (১৯৯০)। হিন্দি ছবি ‘পিকু’ আর বাংলা ছবি ‘শেষ সংবাদ’-এ তাঁকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল। ‘পিকু’ ছবিতে অমিতাভের শ্যালিকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।