যে ছবি ঘিরে প্রশ্ন, সেখানে মেয়ের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন মীর ৷ তাঁর কিশোরী কন্যার মুখে একগাল হাসি ৷ দু’ হাতে ব্যাগ ভর্তি চকোলেট ৷ পাশে মীরের মুখে ছদ্মকান্না ৷ হাতে লম্বা মূল্যতালিকা ৷ অর্থাৎ কন্যার জন্য চকোলেট কিনতে গিয়ে তাঁর পকেট সাফ!
সকন্যা মীরের ছবিটি পাঁচ বছর আগের ৷ ক্যাপশনে মীর লিখেছেন, তাঁরা গিয়েছিলেন সুইৎজারল্যান্ডের ব্রোক-এ ৷ বিশ্ববিখ্যাত চকোলেট কারখানা ছিল তাঁদের দ্রষ্টব্যের মধ্যে অন্যতম গন্তব্য ৷ মীরের সুরসিক সাবধানবাণী, সেখানে কেউ যেন বাচ্চার সঙ্গে না যায় ৷ নিজের নাম না করে মীরের ইঙ্গিত, ‘‘৫ বছর আগে মস্ত ভুল করেছিল এক বাবা’৷ মেয়ের সঙ্গে তাঁর সুইস চকোলেটের স্মৃতি ৭ জুলাই ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন মীর ৷ কারণ সেটা ছিল বিশ্ব চকোলেট দিবস ৷
advertisement
নেটিজেনদের প্রশ্ন, তাঁর কি সত্যি খুব বেশি খরচ হয়ে গিয়েছিল? নইলে এই ছবিটা প্রতিবছর তিনি শেয়ার করেন কেন? তিনি কি ভুলতে পারছেন না?
তবে ফেসবুব ব্যবহারকারীদের একটা বড় অংশ অবশ্য বক্রোক্তির পথে হাঁটতে চান না ৷ তাঁদের কাছে বাবা-মেয়ের আনন্দটাই শেষ কথা ৷ কেউ বলেছেন, এরকম ভুল করে বাবারা আনন্দই পান৷ তাঁরা এরকম ভুল বার বার করতে ভালবাসেন ৷ একজন আবার বলেছেন, অন্য কাউকে নয়, তিনি নিজের মেয়েকেই তো চকোলেট দিয়েছেন ৷ তা হলে এত বার সে বিষয়ে বলার কী আছে!
মজার এই পোস্টে নস্টালজিকও হয়ে পড়েছেন কেউ৷ মনে পড়ে গিয়েছে শৈশবে বাবাকে হারানোয় পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আক্ষেপ ৷
চকোলেট দিবসের দুদিন আগে মেয়ের সঙ্গে আরও একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন মীর ৷ সেখানেও তাঁরা বিদেশের রাজপথে ৷ আইসক্রিম হাতে মীরের কিশোরী কন্যার দুচোখে বিস্ময়ভরা আনন্দ ৷ তাঁর এই নিজস্বীর মতো চকোলেট দিবসের ছবি ঘিরেও নেটিজেনরা উচ্ছ্বসিত ৷
