মাইকেল ভক্তদের বিশ্বাস এখনো বেঁচে আছেন তিনি। খ্যাতি আর সাফল্যের মায়াজালে তিনি নিঃসঙ্গ অনুভব করছেন বলেই এ জীবন থেকে পালিয়ে গিয়েছেন । ছদ্মবেশে ঘুরছেন দেশ থেকে দেশে। এগুলো মোটেই বানানো কথা নয়। বিশ্বের অধিকাংশ মাইকেল ভক্তের মতে তিনি এখনো বেঁচে আছেন। শুধু লোকচোখের অন্তরালে যেতেই তার মৃত্যুর খবর ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। অনেকে তো দাবি করেই বসেছেন, তিনি মৃত্যুর পরও কোথায়, কবে উপস্থিত ছিলেন। এমন প্রমাণও কম নয় ।
advertisement
মাইকেলের পুরো জীবনটাই যেমন গিয়েছে হাজারও গুঞ্জনকে ঘিরে। মৃত্যুর পরেও সেই গুঞ্জনের হাত থেকে নিষ্কৃতি নেই ৷ তবে এসব গুঞ্জনের মিলিত রূপ এবার দেখা দিল আরও বড় আকারে। মাইকেলের মৃত্যুর পর মুক্তিপ্রাপ্ত অ্যালবামের বিক্রয়ের শীর্ষ থাকা আর বছরজুড়ে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের লাভের অঙ্কে চোখ কপালে উঠেছে সবারই। মৃত্যুর পরও মাইকেল প্রেমিরা জ্যাকসন জ্বরে কাবু ৷
গানের বাইরে পপ সম্রাটের জীবন-যাপন নিয়ে রহস্য ছিল প্রচুর ৷ বিশেষ করে তাঁর যৌনজীবন নিয়ে গুঞ্জন ছিল গোটা বিশ্ব জুড়ে ৷ বহুবার তিনি শিরোনামে এসেছেন নানা যৌনকীর্তির কারণে ৷ তবে তা কখনও ছাপিয়ে যেতে পারেনি তাঁর গানের জনপ্রিয়তাকে ৷ কিন্তু জ্যাকসনের হঠাৎ মৃত্যু রহস্য রেখে গিয়েছে গোটা বিশ্বে ৷ যা এখনও রয়েছে সমানতালে ৷
কিং অফ পপ নামে দুনিয়াজুড়ে পরিচিত লাভ করা মার্কিন সংগীত শিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের আচমকা মৃত্যুর জন্য দীর্ঘ মেয়াদে পেইন কিলার সেবনকে দায়ী করা হয়। কিন্তু এ নিয়ে বিতর্ক বোধ হয় কোনো দিনই শেষ হবে না। শুরুতে জানানো হয়েছিল তার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটেছে। তখন হুট করেই খবরে আসছে ডেমারোল নামের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যথানাশক ইনজেকশন নেওয়ার কারণেই জ্যাকসনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
তবে এখানেই শেষ নয়, এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই ধাঁধা লাগে গোটা বিশ্বের চোখে ৷ প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি মাইকেল আত্মহত্যা করেছেন?
মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর জন্য তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক কনরাড মুরকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। পপস্টারের মৃত্যুর জন্য অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও তার গাফিলতিই দায়ী বলে লস এঞ্জেলেসের আদালত রায় দেয়। যদিও মুরের আইনজীবীরা দাবি করেন, জ্যাকসন স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত মাত্রায় ওই ওষুধটি নিয়েছিলেন। তবে কি এটি হত্যা, নাকি আত্মহত্যা হিসাব কষে দুইয়ে দুইয়ে চার আজও মিলেনি।