চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা নাট্যকারকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।সল্টলেকের ক্যালকাটা হার্ট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট নিয়ে অশীতিপর অভিনেতাকে ভর্তি করানো হয়। শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়ার রক্তচাপ খুবই কমে গিয়েছিল। এর পর তিনি সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন। তবে অসুস্থতা পিছু ছাড়েনি। এ বছর একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। বছরের শুরুতেই বুকে প্রেসমেকার বসেছিল মনোজ মিত্রের। হৃদযন্ত্রের সমস্যা-সহ একাধিক অসুস্থতার চিকিৎসা চলছিল৷ শেষ পর্যন্ত হেমন্তের সকালে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে সাজানো বাগান ফেলে চলে গেলেন বাঞ্ছারাম৷
advertisement
তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়৷ সামাজিক মাধ্য়মে শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘প্রখ্যাত নট, নাট্যকার ও পরিচালক, ‘বঙ্গবিভূষণ’ মনোজ মিত্র’র প্রয়াণে শোকাহত হলাম। বাংলা থিয়েটার ও চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অবদান ছিল অসামান্য। তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও অনুরাগীদের সমবেদনা জানাই।’
বাংলা মঞ্চ এবং বিনোদন দুনিয়ায় তাঁর পথ চলা দীর্ঘদিনের৷ প্রথম নাটক ‘মৃত্যুর চোখে জল’ তিনি লেখেন ১৯৫৯ সালে। পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমির দায়িত্বও পেয়েছিলেন। বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, তপন সিনহা, তরুণ মজুমদার, গৌতম ঘোষের পরিচালনায় অভিনয় করেছেন দাপটের সঙ্গে। বাংলা চলচ্চিত্র যত দিন থাকবে তত দিন সজীব হয়ে থাকবেন ‘বাঞ্ছারাম’, তাঁর সাজানো বাগান নিয়ে৷ দূরদর্শনে বাংলা ধারাবাহিকের ইতিহাসে সমুজ্জ্বল ভাস্বর থাকবেন হাজারি ঠাকুর৷ আদর্শ হিন্দু হোটেলে তাঁর হেঁশেল সাজিয়ে৷