গোটা ডকুমেন্টারিটি বর্ণনা করেছেন বিখ্যাত বলিউড অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী। তাঁর উপস্থাপনাতেই উঠে এসেছে কোভিড-কাহিনি। অভিনেতার ভাষায়, '' এই ডকুর মাধ্যমে দেশের প্রতিটি ফ্রন্টলাইন কোভিড যোদ্ধা ও সেই-সমস্ত মানুষ, যাঁদের জন্য আমরা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে পেরেছি, তাঁদের প্রতি আমার শ্রদ্ধাজ্ঞাপন।''
কেন এই ডকুমেন্টারিটি করতে রাজি হয়েছিলেন? মনোজ বাজপেয়ীর কথায়, '' প্রযোজকরা চাইছিলেন আমি ডকুমেন্টারিটা করি। আমি নিজেও কাজটা করতে চাইছিলাম। এই ডকু-র মাধ্যমে আমি প্রতিটি কোভিড যোদ্ধাকে শ্রদ্ধা জানাতে পেরেছি। একটা কথা মনে রাখবেন, করোনাকালে আমরা বাড়ির আরামে ছিলাম। কিন্তু সেইসময় কোভিড যোদ্ধারা দিনরাত এক করে পরিশ্রম করেছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। বৈজ্ঞানিক, ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার ! এই মানুষগুলোর জন্যই আমরা আজ সুরক্ষিত। এই ডকুমেন্টারি সেই সকল যোদ্ধাদের স্যালুট জানায়, তাঁদের অবদান উদযাপন করে।''
advertisement
২ দিনে ডকুমেন্টারিটি রেকর্ড করেন মনোজ বাজপেয়ী। তাঁর মতে, '' যতটা সহজ মনে হয়েছিল, কাজটা ঠিক ততটাও সহজ ছিল না। আমায় গোটা ডকুটা ন্যারেট করতে হয়েছে।''
History TV18-এ শুক্রবার রাত ৮টায় প্রিমিয়ার হবে 'দ্য ভায়াল'- এর। এই প্রথম খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তুলে ধরবেন কোভিড লড়াইয়ের গল্প, কীভবে ভারত কোভিডের বিরুদ্ধে জয়ী হল। ডকুতে দেখা যাবে ভ্যাক্সিনের প্রস্তুতকারক সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া-র সিইও আদর পুনাওয়ালা ও ভারত বায়োটেক-এর চেয়ারম্যান ডঃ কৃষ্ণা এল্লা-র সাক্ষাৎকার।
দর্শকদের জন্য বাজপেয়ীর বার্তা, '' এই ডকুমেন্টারির পরতে পরতে ধরা পড়েছে ভ্যাক্সিনের গল্প। কীভাবে ভ্যাক্সিন প্রস্তুত করা হল? এত জনবহুল একটা দেশে কীভাবে তা বিতরণ হল? সবটা বিস্তারিতভাবে ফুটে উঠেছে। প্রত্যেকের ডকুটি দেখা উচিত। নির্মাতারা খুব খেটে এরকম আরকাইভাল একটি প্রজেক্ট বানিয়েছেন। ডকুমেন্টারিটি দেখার সময় মাথায় রাখবেন, প্রকৃতিকে কখনও হালকাভাবে নেবেন না।''
দেশের ১.৩ বিলিয়ন জনসংখ্যাকে অন্তত একটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার পাশাপাশি, বিশ্বব্যাপী একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে ভারত। ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ উদ্যোগে মাধ্যমে ১০০টি দেশে কোভিড-19 ভ্যাকসিনের ২৩২.৪৩ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করা হয়েছে।