কিংবদন্তি শিল্পীর বাংলা,হিন্দি ছাড়াও মারাঠি, গুজরাটি, মৈথিলী, মালায়ালম সহ আরও বিভিন্ন ভাষায় দীর্ঘ ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সঙ্গীত চর্চা করেছিলেন। সর্বকালের সেরা গায়ক হিসেবেই সকলের মনে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন মান্না দে। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি প্রবল আকর্ষন ছিল তাঁর। স্কটিশ স্কুলে পড়াকালীন নিজের গানে আসর জমিয়ে রাখতেন মান্না। আধুনিক বাংলা গানের জগতে সমস্ত শ্রোতাদের কাছেই ভীষণই জনপ্রিয় মান্না দে। একজন সফল সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার খ্যাতি বিশ্বজোড়া। পঞ্চাশ থেকে সত্তরের দশকে রফি ও কিশোর কুমারের মতো তিনিও ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি গান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তবে শুধু গানই নয়, গান ছাড়াও মান্না দে-র একটি বিশেষ গুণ রয়েছে। কিংবদন্তির জন্মবার্ষিকীতে জেনে নিন শিল্পীর অজানা গুণের কাহিনি।
advertisement
আরও পড়ুন-জন্মদিনে স্ত্রী অনুষ্কার সম্পর্কে এ কোন গোপন কথা ফাঁস করলেন বিরাট, আদুরে বার্তা ভাইরাল
আরও পড়ুন-হাঁটছেন না কত্থক নাচছেন! ব়্যাম্পে এসে হলটা কী সোনমের, চরম ট্রোলড ফ্যাশনিস্তা
বাঙালি মানেই ভোজনরসিক। খাওয়া-দাওয়া ছাড়া বাঙালি যেন অসম্পূর্ণ। ঠিক তেমনই মান্না দেও ছিলেন খাঁটি ভোজন রসিক। খেতে ভীষণ ভালবাসতেন। সমস্ত রকম খাবারই বেশ কব্জি ডুবিয়ে খেতেন । কাজের জন্য যেখানে যেতেন সেখানইকার কুইজিনের স্বাদ নিতে কখনওই ভুলতেন না মান্না দে। খেতেও যেমন ভালবাসেন তেমনই রান্না করতেও ভীষণ ভালবাসতেন মান্না দে। খাঁটি বাঙালি রান্না থেকে শুরু করে নর্থ কিংবা সাউথ ইন্ডিয়ান, চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল-সব ধরনের রান্নাও করতে পারতেন মান্না দে। সঙ্গীতের পাশাপাশি খেলার মাঠে মন ছিল মান্না দে-র। কুস্তি ও বক্সিংয়ে পারদর্শী ছিলেন মান্না দে। এছাড়াও ফুটবল খেলতে খুব ভালবাসতেন মান্না দে। 'কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই'-মান্না দে'র গাওয়া কালজয়ী গানগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। যেটা প্রজন্মের পর প্রজন্ম সকলের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। এছাড়াও মান্না দে-র অন্যান্য গানগুলির মধ্যে 'আবার হবে তো দেখা', 'এই কূলে আমি আর ওই কূলে তুমি', 'তীর ভাঙা ঢেউ আর নীড় ভাঙা পাখি', 'যদি কাগজে লেখো নাম', 'সে আমার ছোট বোন' ইত্যাদি বেশ জনপ্রিয়। তবে শুধু বাংলাতেই নয়, হিন্দিতেও তার অসংখ্য জনপ্রিয় গান রয়েছে। পাশাপাশি বাংলা ও হিন্দি সিনেমার গায়ক হিসেবেও সুনাম অর্জন করেছেন মান্না দে ।২০১৩ সালেই সকলকে ছেড়ে পরলোকে পাড়ি দেন মান্না দে। আজও তার স্মৃতি উজ্জ্বল সকলের মণিকোঠায়।
