ছোট ক্লিপে মহিমা মজা করে ফটোগ্রাফারদের বলেন, “আপনারা বিয়েতে আসতে পারবেন না, তবে মিষ্টি নিশ্চয়ই পাবেন”! তাঁর এই মন্তব্য ভক্তদের মধ্যে কৌতূহল আরও বাড়িয়ে তোলে। হালকা মন্তব্যটি অনেককেই বিশ্বাস করতে বাধ্য করে যে, দুই অভিনেতা সত্যিই বিয়ে করেছেন। তাহলে মহিমা চৌধুরি-সঞ্জয় মিশ্রর বিয়ের ছবি কি আসল?
একেবারেই নয়! এর পিছনে যে কারণ রয়েছে, তা ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরা সত্যের থেকে অনেক দূরে। আসলে ভাইরাল সেই দৃশ্যগুলি সিদ্ধান্ত রাজ পরিচালিত তাঁদের আসন্ন ছবি দুর্লভ প্রসাদ কি দুসরি শাদির প্রচারণার অংশ ছিল। মহিমা এবং সঞ্জয় মিশ্র উভয়ই ছবিতে নববিবাহিত দম্পতির চরিত্রে অভিনয় করছেন এবং তাঁদের এই বিবাহের পোশাকে উপস্থিতি কেবল সেই সিনেমার প্রচারের জন্য প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হয়েছিল।
advertisement
এর আগে মহিমা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ছবিটির মোশন পোস্টার শেয়ার করেছিলেন, যাতে ভক্তদের এই ছবির একটি আভাস দেওয়া হয়। প্রধান জুটির পাশাপাশি অভিনেতা ব্যোম এবং পলক লালওয়ানিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবেন। ছবিটির মুক্তির তারিখ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি।
সঞ্জয় মিশ্রর সঙ্গে বিয়ের সাজে দেখার পর মহিমাকে নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠলেও তাঁর বিবাহিত জীবন বরাবরই থেকেছে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। ২০০৬ সালে স্থপতি ও ব্যবসায়ী ববি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ের পর মহিমা চৌধুরির ব্যক্তিগত জীবন ছিল সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে। এক বছর পর ২০০৭ সালে এই দম্পতি তাঁদের মেয়ে আরিয়ানাকে পৃথিবীতে স্বাগত জানান। তবে এর পর পরই ঝামেলা শুরু হয়ে যায় এবং ২০১৩ সালের মধ্যে তাঁরা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার পর থেকে, মহিমা তাঁর মেয়ের জন্য সিঙ্গল মাদারের ভূমিকা পালন করে চলেছেন, যদিও বিবাহবিচ্ছেদ সম্পর্কে সবসময় মুখ বন্ধ রাখতেই তিনি পছন্দ করেন। বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের মূল কারণ ছিল পারস্পরিক অসঙ্গতি এবং মতপার্থক্য।

