গোদারের মৃত্যুর খবর স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তার পরেই একে একে এই দুঃসংবাদ প্রকাশ পায়।
শুধু ফরাসি ছবি নয়, আন্তর্জাতিক ছবিতেও এক মুক্ত বাতাস এনেছিলেন এই ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা। হলিউডে গল্প বলা ছবির যে ধরন, সম্পাদনার যে ধরন, সবই পাল্টে দিয়েছিলেন তিনি। চলচ্চিত্রের ভাষা এক নতুন ব্যকরণে বেঁধেছিলেন গোদার।
আরও পড়ুন: পর্নে আসক্ত বৃদ্ধের হাতে গোদারের সিনেমা, অমর্ত্যর ওড়িয়া ছবির প্রশংসায় কাশ্যপ
advertisement
আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রে এসেছিল নিউ ওয়েভ বা নব তরঙ্গে। ১৯৬০-এর দশকে সিনেমা তৈরির পদ্ধতিতে নতুনত্ব এনেছিলেন পরিচালক। হাতে ধরা বা হ্যান্ডহেল্ড ক্যামেরায় নাগরিক যাপন উঠে এসেছিল গোদারের ছবিতে।
চলচ্চিত্রের সংলাপ নির্মাণে গোদারকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম পরিচালক বলে মনে করেন অনেকে। তাঁর হাত ধরেই সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল নিউ ওয়েভের আদর্শ। আগাগোড়া বিপ্লবী চেতনার মানুষ গোদার। ছবির ভাষা নির্মাণেও ছিলেন প্রগতিশীল এবং বৈপ্লবিক।
পরবর্তী কালে আন্তর্জাতিক ছবির জগতের অন্যতম উচ্চপ্রশংসিত পরিচালক কোয়েন্টিন তারান্তিনোও গোদারের ঋণ স্বীকার করেছেন। 'ট্যাক্সি ড্রাইভার' তৈরির সময়ে মার্টিন স্করসেজিও গোদারের কথা বলেছিলেন।
আরও পড়ুন: শুধু পাকিস্তান নয়, অন্য দেশের শিল্পীরাও নিষিদ্ধ হোক বলিউডে! দাবি ইউনিয়ন নেতার
কালো সানগ্লাস পরা চওড়া কপালের গোদার প্রভাবিত করেছিলেন এই দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতাদেরও। জন এব্রাহাম, মৃণাল সেনকেও তাঁর চলচ্চিত্রের ভাষায় ছবি বানাতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন গোদার। আনন্দ গান্ধির 'শিপ অফ থিসিয়াস' এবং রীতেশ বাত্রার 'লাঞ্চ বক্স'-এ গোদারের প্রভাব খুঁজে পান অনেকে।
২০১৪ সালে গোদারের তৈরি 'গুডবাই টু ল্যাঙ্গুয়েজ' ছবিটি শ্যুট করা হয় থ্রিডি-তে। প্রযুক্তির এই যাত্রাপথে গোদার মরুদ্যান হয়ে রয়ে গেলেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রে। মঙ্গলবার সারা পৃথিবী বিদায় জানালেন তাঁকে। ADIEU GODARD।