Dhurandhar: স্বামীকে খল হিসেবে দেখালে তিনি ছেড়ে কথা বলবেন না, ধুরন্ধর মুক্তির আগে হুশিয়ারি দিলেন পাক এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট চৌধুরী আসলামের স্ত্রী

রণবীর সিংয়ের গুপ্তচর ছবি 'ধুরন্ধর' এর ট্রেলার প্রকাশের পর থেকেই একে একে বিতর্কে শুরু হয়েছে। প্রয়াত পাকিস্তানি পুলিশ অফিসার চৌধুরী আসলামের স্ত্রী নওরীন আসলাম ছবিটির প্রযোজকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে ছবিতে যদি তাঁর স্বামীকে নেতিবাচক বা অবমাননাকরভাবে দেখানো হয় তবে তিনি বিষয়টি আদালতে নিয়ে যাবেন।

চৌধুরী আসলাম কে ছিলেন? পাকিস্তানে "এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট" হিসেবে পরিচিত আসলাম করাচিতে সন্ত্রাসবাদ এবং অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে অসংখ্য কঠোর অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। রেহমান ডাকোইত, উজাইর বালুচ এবং তালেবানের মতো বিপজ্জনক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাঁর কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি শিরোনামে এসেছিলেন। ৯ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখে লিয়ারি এক্সপ্রেসওয়েতে এক বোমা হামলায় তিনি নিহত হন। পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালেবান এই হামলার দায় স্বীকার করে।

আদিত্য ধর পরিচালিত 'ধুরন্ধর' ছবিতে সঞ্জয় দত্ত চৌধুরী আসলামের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ট্রেলারে করাচির কুখ্যাত লিয়ারি এলাকার সহিংস পটভূমি এবং এর ফলে সংঘটিত গ্যাং যুদ্ধের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ট্রেলারে দত্তের চরিত্রটিকে 'খল' হিসেবে উল্লেখ করা একটি সংলাপ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। নওরীন আসলাম গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

জিও ডিজিটালের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নওরীন আসলাম বলেন যে, তাঁর স্বামীকে কীভাবে চিত্রিত করা হয়েছে তা দেখার জন্য তিনি ছবিটি মুক্তির জন্য অপেক্ষা করবেন। তিনি বলেন, "এই ধরনের কথা কেবল আমার স্বামীকেই নয়, তার মাকেও অপমান করে, যিনি একজন সরল ও সম্মানিত মহিলা ছিলেন।" তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন যে, যদি ছবিটি প্রকৃত তথ্য বিকৃত করে বা তাঁর স্বামীর ভাবমূর্তি নষ্ট করে, তাহলে তিনি কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব করবেন না।

৫ ডিসেম্বর ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে । এমন পরিস্থিতিতে, ট্রেলার নিয়ে উত্থাপিত প্রশ্নগুলি প্রযোজকদের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। এখন, দর্শক এবং আসলামের পরিবার এই বাস্তব জীবনের চরিত্রটিকে কীভাবে ছবিটিতে চিত্রিত করা হয়েছে তা অধীর আগ্রহে দেখছেন। ইতিমধ্যে, মেজর মোহিত শর্মার পরিবার ছবিটির মুক্তি স্থগিত চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছে।