লতা মঙ্গেশকর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর লক্ষ লক্ষ গুণমুগ্ধ ও ভক্ত তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছিলেন। তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর নিউমোনিয়া দেখা দিয়েছিল জনপ্রিয় গায়িকার। মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিত্সা চলছিল তাঁর। গত কয়েকদিন ধরে আইসিইউ-তে ছিলেন লতা মঙ্গেশকর।
advertisement
আরও পড়ুন- অকস্মাৎ শাঁওলি বিদায়! নাট্যজগতে শোকের ছায়া, কেউ ভাসলেন স্মৃতিতে, কেউ চোখের জলে..
কোভিডের সঙ্গে নিউমোনিয়া থাকায় গায়িকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। চিকিত্সকরা জানিয়েছিলেন, বাড়তি সতর্কতার জন্যই তাঁকে গত কয়েকদিন আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। শেষের ২ দিন পরিবারের কাউকে দেখতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই চিকিত্সায় সাড়া দিচ্ছিলেন লতা মঙ্গেশকর। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। শেষ পর্যন্ত কোভিড ও নিউমোনিয়ার জোড়া ফলার সঙ্গে যুঝতে পারলেন না কিংবদন্তি গায়িকা।
গত কয়েকদিন ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন লতা মঙ্গেশকর। চিকিৎসকরা তাঁর ভক্তদের অনুরোধ করেছিলেন, কিংবদন্তি শিল্পীর আরোগ্য কামনায় যেন প্রার্থনা করা হয়। কিন্তু লতা মঙ্গেশকরের অগণিত ভক্তের প্রার্থনা শেষমেশ কাজে এল না। ভারতীয় সঙ্গীত জগতে অপূরণীয় শূন্যস্থান তৈরি করে চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর।
আরও পড়ুন- চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না নারায়ণ দেবনাথ! ভেন্টিলেশনে হাঁদা-ভোঁদা-র স্রষ্টা
২৮ সেপ্টেম্বর ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। ভারতের ৩৬টি ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। তবে হিন্দি ও মারাঠি ভাষায় তাঁর গাওয়া গানের সংখ্যাই বেশি। ১৯৮৯ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিতা হন তিনি। ২০০১ সালে ভারতরত্নে সম্মানিত হন লতা মঙ্গেশকর। ভারতীয় সঙ্গীতজগতে অসামান্য অবদান রয়েছে তাঁর। বাংলা ভাষাতেও ১৮৫টি গান গেয়েছেন তিনি। ১৯৫৬ সালে প্রথম বাংলা গান 'প্রেম একবারই এসেছিল নীরবে' গেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। সেই বছরই তাঁর গাওয়া 'রঙ্গিলা বাঁশিতে' গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এর পর একের পর এক বাংলা গানে শ্রোতাদের মাতিয়ে ছিলেন তিনি।