সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার জন্য আরও কিছুদিন লতা মঙ্গেশকরকে হাসপাতালে আইসিউতে রাখতে হবে। এরই মধ্যে রবিবার খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। এই খবরকে 'ভুয়ো খবর' বলে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন লতা মঙ্গেশকরের মুখপাত্র তাঁর কথায়, "ভুল খবর যেভাবে ছড়াচ্ছে তা খুবই বিরক্তিকর। লতাদিদি স্থিতিশীল আছেন। যোগ্য চিকিৎসকদের চিকিৎসায় তিনি আইসিইউতে আছেন। দয়া করে প্রার্থনা করুন, যাতে তিনি দ্রুত বাড়ি ফিরতে পারেন।"
advertisement
আরও পড়ুন- চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না নারায়ণ দেবনাথ! ভেন্টিলেশনে হাঁদা-ভোঁদা-র স্রষ্টা
গত সোমবার লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar)ভাইঝি রচনা শাহ জানান, প্রবীণ গায়িকা চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন এবং শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, "উনি স্থিতিশীল ও সজাগ আছেন। ঈশ্বর সহায় আছেন। উনি একজন যোদ্ধা ও জয়ী। এভাবেই তাঁকে আমরা জেনে এসেছি বছর ধরে। আমি সমস্ত অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যাঁরা প্রার্থনা করে চলেছেন। যখন সবাই প্রার্থনা করেন তখন ভুল কিছু হতে পারে না।"
আরও পড়ুন- প্রয়াত কত্থকের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী পণ্ডিত বিরজু মহারাজ!
প্রসঙ্গত গানের জগতে লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) অশেষ অবদান সম্পর্কে বলার অপেক্ষা রাখে না। ১৯৪২ সালে বাবা পণ্ডিত দিনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যুর পরে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে গান শুরু করেছিলেন লতা। তিনি একজন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গায়িকা ও মঞ্চের অভিনেতা ছিলেন। বলিউডে লতা মঙ্গেশকর গান গেয়ে প্রথম জনপ্রিয় হন ১৯৪৮ সালের মজবুর ছবির মাধ্যমে। এই ছবিতে দিল মেরা তোড়া, এই গানটি তিনি গেয়েছিলেন। এর পরে ১৯৪৯ সালে মহল ছবিতে লতার গাওয়া আয়েগা আনেওয়ালা ব্যাপক ভাবে হিট করেছিল।