সেই হাসি মুখেই সুস্মিতা পোস্ট করেছিলেন নিজস্বীটি৷ গাড়িতে বসে ছিলেন তিনি৷ রোদচশমায় ঢাকা থাকলেও দিব্যি টের পাওয়া যাচ্ছে তাঁর দু’চোখের খুশি৷ ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আমি তোমাদের ভালবাসি৷’ মন্তব্যের জায়গায় তাঁর বড় মেয়ে রেনে লেখেন, ‘‘আমি তোমাকে সবথেকে বেশি ভালবাসি...এখানেই সব আলোচনার শেষ৷’’ বোঝা যাচ্ছে মায়ের ট্রোলিংয়ে আহত তরুণী রেনে-ও৷
advertisement
গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ট্যুইট করে ললিত মোদি লেখেন, ‘‘ সপরিবার মলদ্বীপ, সার্ডিনিয়া-সহ বিশ্বসফরের পর সবে ফিরেছি লন্ডনে ৷ অর্ধাঙ্গিনী সুস্মিতা সেনের কথা না বললেই নয় ! অবশেষে জীবনে এক নতুন সূত্রপাত ৷ মনে হচ্ছে চাঁদে রয়েছি৷’’ পরে ললিত সংযোজন করেন তাঁর ট্যুইটে ৷ জানান, বিয়ে হয়নি, তবে তাঁরা প্রণয়ের সম্পর্কে রয়েছেন ৷ বিয়েও হবে একদিন ৷
আরও পড়ুন : রহমানের বাহুডোর থেকে এখন তিনি ললিতসুন্দরী! ৪৭ বসন্ত পেরিয়েও সুস্মিতার মুঠোয় রূপরহস্য
এ প্রসঙ্গে নীরবতা ভাঙেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীও৷ ইনস্টাগ্রামে মেয়েদের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে জানিয়েছেন তিনি আনন্দময় জায়গায় আছেন৷ বিয়ে হয়নি৷ আংটি নেই৷ তাঁকে আবৃত করে আছে নিঃশর্ত ভালবাসা ৷ অনেক কথা বলা হয়ে গিয়েছে৷ এ বার জীবন ও কাজে ফিরতে হবে ৷ যাঁরা তাঁর সঙ্গে খুশি ভাগ করে নিয়েছেন বরাবর তাঁদের তিনি শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷ আর যাঁরা সেটা করেননি তাঁদের সেটা মাথাব্যথাও নয় বলে সুস্মিতার মন্তব্য৷ ট্যুইটবার্তার শেষে দুগ্গা দুগ্গা !
আরও পড়ুন : ঐশ্বর্য নাকি আবার অন্তঃসত্ত্বা, বলিউডের অন্দরমহলে তীব্র গুঞ্জন
অবশ্য প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর বাবা জানিয়েছেন তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না৷ প্রাক্তন প্রেমিক রহমান শোল অবশ্য সুস্মিতার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি৷ তাঁর কথায়, ‘‘তাঁদের জন্য আনন্দিত হোন না! প্রেম সুন্দর৷ আমি এটুকু বলতে পারি যদি সুস্মিতা কাউকে পছন্দ করেন তাহলে তিনি সত্যিই তাঁর যোগ্য৷’’ ললিত মোদির প্রথম পক্ষের ছেলে রুচির বলেন তিনি তাঁর বাবার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না ৷
আরও পড়ুন : প্রথম বার যৌন সম্পর্কের সময় যোনিপথের যন্ত্রণা এড়াতে রইল টিপস
তাঁর পারিপার্শ্বিক যা-ই ভাবুক না কেন, ইন্টারনেটের একাংশে প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী পরিচিত হয়েছেন ‘গোল্ড ডিগার’ বা স্বর্ণসন্ধানী হিসেবে৷ ইঙ্গিত স্পষ্ট, ললিত মোদির সম্পত্তির জন্যই তিনি আকৃষ্ট হয়েছেন৷ সমাজমাধ্যমের এই পরিচয়ে মর্মাহত তিনি৷ জানাতে ভোলেননি সুস্মিতা৷ সঙ্গে তাঁর সুরসিক মন্তব্য, তিনি সোনার থেকেও দামী কিছু খোঁজেন৷ তাঁর পছন্দ হিরে!