১৮৬০ সালে লেখা হয়েছিল নীলদর্পন। কথিত আছে প্রথম অভিনয় হয় ঢাকা শহরে। তবে প্রথম বাঙালি টিকিট কেটে বাংলা নাটক দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন ১৮৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর। মধুসূদন মল্লিকের জোড়াসাঁকোর বাড়ির উঠোনে তৈরি করা হয়েছিল মঞ্চ। বিক্রি হয়েছিল টিকিট। বাংলা সাধারণ রঙ্গালয়ের সেই শুরুর দিনে মঞ্চস্থ হয়েছিল নীলদর্পন। সার্ধ শতবর্ষ উদযাপনের উদ্বোধনী নাটকে থাকছে সেই নীলদর্পন। মঞ্চস্থ হবে ঢাকার নাট্য পরিচালক মামুনুর রশিদের প্রযোজনায়।
advertisement
আরও পড়ুন: ব্যতিক্রমী লড়াই চালাচ্ছেন ঐন্দ্রিলা, তবে শারীরিক অবস্থা তীব্র আশঙ্কাজনক
৬ ডিসেম্বর ২০২২ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। তারপর এক বছর ধরে চলবে এই উদযাপন। এমনই জানিয়েছেন নাট্য পরিচালক বিভাস চক্রবর্তী। বছরব্যাপী এই অনুষ্ঠানে প্রতি মাসের একটি শনিবার করে ১৩টি নাটক মঞ্চস্থ করা হবে।হবে নাটক পাঠ।বাংলা রঙ্গালয়ের একাল সেকাল নিয়ে হবে সেমিনার, আলোচনা সভা। সেখানে অংশ নেবেন বিশিষ্ট নাট্যকার, পরিচালক থেকে অভিনেতা সকলেই। চলতি বছরের ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে পরের বছর ৭ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: এখনও উদ্ধার ১৩টি হাড়, মেলেনি খুলি! বাথরুমে বসে শ্রদ্ধাকে টুকরো করে মদ্যপ আফতাব
ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, উৎপল দত্ত, মনোজ দত্তের মতও নাটককারদের নাটক মঞ্চস্থ হবে বলে জানিয়েছেন নাট্য পরিচালক মেঘনাদ ভট্টাচার্য। গিরিশ ঘোষের বাড়ির সামনে থেকে শোভাযাত্রাও করা হবে। বঙ্গ নাট্য সংহতির এই প্রয়াসে আগামী প্রজন্মের কাছে বাংলা রঙ্গালয়ের নানান দিক তুলে ধরার চেষ্টা বলে জানিয়েছেন মেঘনাদ বাবু। শুধু তাই নয়, তাদের তরফে বছর ভর বিভিন্ন কর্মশালা যেমন করা হয়, তেমন পাশে দাঁড়ানো হয় দুঃস্থ মানুষের।