আরও পড়ুন- ট্রেনের রিজার্ভেশন পেতে নাজেহাল? সুখবর! ২০ জানুয়ারি থেকে এমনিই চড়তে পারবেন, জানুন বিশদে!
আরও পড়ুন- বাড়ির জলের ট্যাঙ্কে ফেলে রাখুন এই ‘এক টুকরো’ কাঠ…! সারাজীবন পরিষ্কার থাকবে জল, অবিশ্বাস্য!
কালচিনির ছোট গ্রাম গাঙ্গুটিয়াতে বসবাস পুষ্পাঞ্জলি লোহারের। ছোট থেকেই দারিদ্রের সঙ্গে যুদ্ধ তাঁর। তবুও পড়াশুনো চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁর বয়স যখন ৭ বছর, তখন বাবা মারা যান। সংসারের চাপ এসে পড়ে তাঁর মায়ের উপর। কোনও কাজ ছিল না। বাধ্য হয়ে ঘাস কেটে তা বিক্রি করতেন মা। সেই টাকা দিয়ে চলত পুষ্পাঞ্জলির পড়াশোনা।
advertisement
তবে কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে এসে পড়াশুনো থমকে গেল তাঁর। কারণ তাঁর ছোট বোন পড়াশোনা করছিল। মায়ের পক্ষে দুজনের পড়াশুনোর খরচ ওঠানো সম্ভব হচ্ছিল না। মায়ের সঙ্গে সংসার সামলাতে এগিয়ে আসেন পুষ্পাঞ্জলি। টিউশন পড়ানো শুরু করেন তিনি। সেখান থেকেও সাধারণ জ্ঞান বাড়তে শুরু করে তার।
আরও পড়ুন- শিরা থেকে গলে গলে বেরোবে ‘বদ’ কোলেস্টেরল! শুধু এক সপ্তাহ মেনে চলুন এই ‘ডায়েট’, ফল হাতেনাতে!
টিভিতে সুপারষ্টার অমিতাভ বচ্চনের শো রোজ দেখতেন এই জ্ঞানের পরিধি বাড়ানোর জন্য। এরপর চ্যালেঞ্জার উইক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। তবে মুম্বই থেকে ডাক চলে আসবে তা তিনি ভাবতেই পারেননি। এই বিষয়ে তিনি জানান, \”ছোট থেকেই কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতাম। সাধারণ জ্ঞান সংগ্রহ করতে ভাল লাগত। সংবাদপত্র পড়ি , সাধারণ জ্ঞানের বই নিয়ে পড়ি এখনও। টিভিতে ওই শো টি দেখতাম জ্ঞান বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে। তারপর ওই শো এর এক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি।মুম্বই গিয়ে অমিতাভ বচ্চনকে সামনে থেকে দেখেছি সেটা এখনও স্বপ্নের মত।\” হট সিটে বসে খেলার অভিজ্ঞতা অনবদ্য বলে জানান পুষ্পাঞ্জলি। কৌন বানেগা করোরপতি-তে অংশগ্রহণ করে কালচিনিতে ফিরতে শুভেচ্ছায় ভাসলেন তিনি।
অনন্যা দে