এতটাই লাজুক ছিলেন যে জ্যোতির সঙ্গে প্রেমপর্বেও তিনি সহজ হতে পারতেন না৷ নিজেই জানিয়েছেন কেকে৷ জ্যোতি ছাড়া আর কোনও নারী তাঁর জীবনে আসেননি৷ অন্য কারওর সঙ্গে গড়ে ওঠেনি সম্পর্কও৷ ঠিকই করে নিয়েছিলেন যদি বিয়ে করতে হয় তবে জ্যোতিকেই করবেন৷ তবে প্রেমপর্বের পথ আগাগোড়া মসৃণ ছিল না৷ জ্যোতিকে বিয়ে করার জন্য আর কোনও চাকরি না পেয়ে তিনি বাধ্য হয়ে সেলসম্যানের চাকরি করেছিলেন৷ বিয়ের তিন বছর পর ১৯৯৪ সালে কেরিয়ারে প্রথম বার বড় ব্রেক পান কেকে৷ এর পর ধীরে ধীরে বলিউডের প্লে ব্যাক দুনিয়ায় নিজের রাজপাট গড়ে তোলেন তিনি৷ জীবনের বন্ধুর পথে চড়াই উতরাই পেরিয়ে তাঁর পাশে আগাগোড়া ছিলেন স্ত্রী জ্যোতি৷ তাঁদের প্রেমই যেন অনুরণিত হয়েছে কেকে-এর কণ্ঠে অমর হয়ে থাকা অজস্র গানে৷
advertisement
আরও পড়ুন : ‘এ তুমি কেমন তুমি KK-এর গানকে হিংসে কর’, তাঁর গানের প্যারোডিতেই বিঁধলেন ভাস্বর
আরও পড়ুন : এক শিল্পী গান গেয়ে শেষ হয়ে গেল, এক শিল্পী...পৌষালীর শ্লেষাত্মক পোস্ট ভাইরাল
স্ত্রী, ছেলে নকুল এবং মেয়ে তামারাকে নিয়ে নিজের সুখী পারিবারিক বৃত্ত আড়ালেই রাখতেন কেকে৷ কাজের বাইরে ব্যক্তিগত জীবন তিনি বেশি প্রচারের আলোয় আনতেন না৷ সেই পারিবারিক পরিসর এখন কালবৈশাখীতে বিধ্বস্ত৷ কেকে-এর নশ্বর দেহ মুম্বই নিয়ে যেতে কলকাতায় এসেছিলেন তাঁর স্ত্রী জ্যোতি ও ছেলে নকুল৷ মানসিক আঘাতে বিধ্বস্ত জ্যোতি কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না৷ দৃশ্যতই ভেঙে পড়েন তিনি৷
আরও পড়ুন : দর্শক-শ্রোতাকে মরে যেতে বলা থেকে জলসায় বিজ্ঞাপনী জিঙ্গল! রূপঙ্করের পুরনো বিতর্ক
জীবনের যশ খ্যাতির জন্য কেকে স্বীকৃতি দিতেন তাঁর স্ত্রীকে৷ তাঁর রেখে যাওয়া গানই এখন অবলম্বন জ্যোতির৷ সঙ্গীকে ‘অলবিদা’ জানানোর পর এখন তাঁর রেখে যাওয়া সুরেই বাঁচবেন কেকে-এর জ্যোতি৷