২৮ ডিসেম্বর থেকে ইউটিউব চ্যানেলে ভূতের গল্প শোনাবে ‘বাকশ্রুতি’। এমন অনুষ্ঠান বাচিক শিল্পী-দম্পতি দেবাশিস পাল এবং স্বাগতা পালের মস্তিষ্কপ্রসূত। তাঁদের হাত ধরেই ফিরে আসবে ছেলেবেলা। রোমাঞ্চকর গা ছমছমে ভৌতিক গল্পের নাট্যরূপ দিচ্ছেন তাঁরা।
advertisement
‘কায়াহীনের কাহিনি’ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে রয়েছেন সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, কাজল সুর, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, জীবেশ ভট্টাচার্য, হীরালাল শীল, শান্তনু পাল, বলাকা চন্দ্র, শাশ্বতী গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো নামজাদা বাচিক শিল্পীরা। এঁদের গলাতেই প্রাণ পাবে শব্দরা।
একঝাঁক নতুন শিল্পীও রয়েছেন। সুস্মিতা চক্রবর্তী, তিয়াস মজুমদার, কাজল লতা দে এবং শিশুশিল্পী সম্পূর্ণা দাস। গল্পের বিভিন্ন চরিত্র ফুটে উঠবে তাঁদের মধ্যে দিয়ে। সন্দীপ দে-এর পরিচালনায় স্টুডিও ‘আবহ’-তে বসবে ভুতের গল্পের আসর। গ্রাফিক্সের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন প্রসূন চট্টোপাধ্যায়।
ভূতের গল্প মানে এক অন্যরকমের অনুভূতি। গায়ে কাঁটা দেওয়া ব্যাপার। গল্প যত জমে ভয়ও পাল্লা দিয়ে তত বাড়ে। আর সময়টা রাত হলে তো কথাই নেই। বাইরে বেরতেও তখন দু’জনকেও দরকার হয়। ছোট-বড় সবার একই ব্যাপার।
অবশ্য ভূতেরা শুধুই ভয়ঙ্কর হয় এমনটা মানতে নারাজ ‘কায়াহীনের কাহিনি’-এর নাট্যকার, পরিচালক এবং অভিনেতা দেবাশিস পাল। তিনি বলছেন, “আমার ভাবনায় কায়াহীন বা অশরীরীরা শুধু ভয় নয়, সহানুভূতিরও পাত্র।”
ভূতেরা সহানুভূতির পাত্র? এ কেমন কথা! এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন দেবাশিস। তাঁর কথায়, “মৃত্যুর পর নশ্বর দেহ হারিয়েও তারা ইহজীবনের আকর্ষণ পরিত্যাগ করতে পারে না। মায়া, মমতা, প্রেম, ক্রোধ, প্রতিহিংসা – বুকে নিয়ে তারা বারবার ফিরে আসে।”
মায়া, মমতা এসব মানবিক অনুভূতি। মৃত্যুর পরেও বোধহয় এ সব অনুভূতি থেকে যায় ভূতেদের। ‘কায়াহীনের কাহিনী’-তে সে সবই জানতে পারবেন শ্রোতারা। দেবাশিসের কথায়, “এই সব মানবিক অনুভূতিকেই মর্মস্পর্শীভাবে নাটকীয় সংঘাতের মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি।”
প্রসঙ্গত, গত ১২ নভেম্বর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইন্দুমতী সভাগৃহে ‘কায়াহীনের কাহিনি’ ইউটিউব চ্যানেলের উদ্বোধন হয়। ২৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ভৌতিক নাটকের অনুষ্ঠান। শোনা যাবে প্রতি শনিবার। এখন শুধু প্রথম সম্প্রচারের অপেক্ষা।