প্রায়ই ইন্সটাগ্রামে তাঁদের সপরিবার ছুটি কাটানোর ছবি দেখা যায়। করিনা সহাস্যে বললেন, “সইফকে বিয়ে করে আমি বদলে গিয়েছি। আমার মধ্যে সহিষ্ণুতা বেড়েছে। দায়িত্ব নিতে শিখেছি। আমরা একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠতে পেরেছি। আমার মাথা খারাপ হয়ে গেলে ও আমায় শান্ত করে, আর ও খেপে গেলে আমি ওকে সামলাই।”
স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই অভিনয়জগতের, কলটাইমের ঠিক নেই। পেশার কারণে সংসার সামলাতে অসুবিধে কি হয় না? হয়। স্বীকার করে নেন করিনা। তাঁর কথায়, “অবশ্যই, সমস্যা হয়। ধরা যাক, ভোর সাড়ে ৪টেয় ফিরল সইফ। আমি যখন কাজে বেরোলাম তখন ও ঘুমোল। তার পর উঠে শুটিংয়ে বেরিয়ে গেল সইফ। আমি আবার হয়তো পরের দিন ব্যাঙ্কক বেরিয়ে গেলাম। তাই একই বাড়িতে থেকেও অনেক সময় দেখা হয় না আমাদের। সময়ের ভারসাম্য রাখা কঠিন। ছুটির দিন একসঙ্গে কাটানোর প্ল্যান করতে আমাদের ক্যালেন্ডার নিয়ে বসতে হয়।”
advertisement
যদিও, তাঁরা কেউ একে অপরের উপর নির্ভর করেন না। করিনা রসিকতা করে জানান, কোনও কিছুই তাঁর পরামর্শ নিয়ে করেন না সইফ। সইফ অভিনীত ছবির কঠোর সমালোচক করিনা। যদিও আক্ষেপ, সইফ তাঁর শেষ অভিনীত ছবি ‘ক্রু’ দেখেননি। এদিকে, সইফ তাঁর অভিনীত ছবি করিনা না দেখলে দুঃখ পান।
আরও পড়ুন- উড়বে ড্রোন, বহুতলের ছাদ থেকে চলবে নজরদারি, ২১ জুলাই কেমন নিরাপত্তা ধর্মতলায়?
ঝগড়াও হয় তাঁদের। কী রকম? করিনা জানান, এসির টেম্পারেচার সেট করা নিয়ে। সইফ চান ১৬ ডিগ্রি, করিনা চান ২০ ডিগ্রি! শেষে রফা হয় ১৯-এ এসে। করিনা এও বলেন, “সইফ এমন ভাব করবে যেন এসির তাপমাত্রা ঠিক না হওয়ায় অনেকের বিয়ে ভাঙছে। আমাদেরটাও যাবে এই করে।” তবে সবচেয়ে বেশি ঝামেলা হয় পরস্পরকে মিস করেন বলে।