এই বিষয়ে কবির ভ্রাতুষ্পুত্র তথা চুরুলিয়ার নজরুল অ্যাকাডেমির সভাপতি রেজাউল করিম ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেক ইতিহাস। ফলে এই গানে নতুন সুর দেওয়া কখনও কাম্য নয়।’ এ আর রহমানের মতো সুরকার কেন এমন কাজ করেছেন, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘১৯২১ সালের ১০ ডিসেম্বর ভাঙার গান হিসেবে এই গানটি প্রকাশ পেয়েছিল। যে গান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আরও বেশি উজ্জীবিত করে তুলেছিল।’
advertisement
আরও পড়ুন: ‘আরে বালু যে…!’ পাশের সেলেই সব চেনা-মুখ, জেলে জ্যোতিপ্রিয়র ঠিকানা এখন খোরাকের ‘MLA-ব্লক’
অন্যদিকে, কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি সোনালী কাজী বলেছেন, কবির ছোট পুত্রবধূর পরিচালনায় মোহাম্মদ রফি এবং অনুপ জালোটা রামানুজ দাশগুপ্তের তত্ত্বাবধানে গানগুলি গেয়েছিলেন। যেগুলি সঠিক সুরে গাওয়া হয়েছিল এবং সেই গানগুলি মানুষ বারবার শুনতে ভালবাসেন। কিন্তু নজরুলপ্রেমী মানুষজন এই নতুন সুর মেনে নিতে পারছেন না। তাই এ আর রহমানের সুর দেওয়া গানটি বয়কটের কথাও তুলেছেন তিনি। একইসঙ্গে কবির পরিবারের তরফ থেকে এ আর রহমানের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, নতুন সুর তুলে নেওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন: রোজ যত খুশি হাঁটলে উল্টে শরীরের ক্ষতি! বয়স অনুযায়ী হাঁটার পরিমাণ আলাদা, কতটা হাঁটবেন জানুন
কবি নজরুল ইসলামের একটি বিখ্যাত গানে ‘পিপ্পা’ ছবিতে নতুন সুর দিয়েছেন বিখ্যাত সুরকার এ আর রহমান। কিন্তু নতুন সুর দেওয়া নিয়ে রীতিমতো বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে অনেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। নজরুলপ্রেমী মানুষ এই সুর দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছেন। আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানালেন কবির পরিবারের সদস্যরা।
নয়ন ঘোষ