শনিবার সকাল থেকে গোটা বলিউডে ছড়িয়ে পড়ল কঙ্গনা-হৃত্বিকের ইমেল কাণ্ড ! তবে এই কাণ্ডকে প্রথম থেকেই মিথ্যে বলে জানিয়েছেন হৃত্বিক রোশন ৷ তবে সত্যি হোক বা মিথ্যে ৷ বলিউডের গসিপ পাড়ায় এই ইমেল কাণ্ড হেব্বি হিট ! তা কী রয়েছে এই ইমেলে ?
কঙ্গনার থেকে প্রথম ইমেলটি হৃত্বিকের কাছে এসেছিল ২০১৪ সালের ১৭ অগস্ট ৷ কঙ্গনা ইমেলে লিখেছিলেন, ‘মাঝে মধ্যে পুরো ব্যাপারটা নিয়েই খুব চিন্তা হয় ৷ সত্যিই কী আমাদের ভালোবাসা রয়েছে? নাকি পুরোটাই একটা কল্পনার জগত ! কেন তুমি আমার সঙ্গে কথা বল না, যদি সত্যিই আমাদের প্রেম সত্য হয়, তাহলে কেন এত বাধা নিষেধ ? যদি একদিন এরকম হয়, তুমি সব কিছু অস্বীকার কর, তাহলে তখন আমার কী হবে ? আমি ফের কারও প্রেম পড়তে পারব ? আমার জীবন কি শুধুই ভাঙা স্বপ্নের মধ্যে আটকে থাকবে ?’ এই ইমেলের কোনও উত্তর পাননি হৃত্বিক ৷ তবুও ফের কঙ্গনা মেল করেন রোশন পুত্রকে ৷
advertisement
কঙ্গনা লেখেন, ‘তোমার গানটা দেখলাম, দারুণ লেগেছে আমার ৷ কিন্তু আমি খুব দুঃখে আছি ৷ কেন তুমি আমার সঙ্গে কথা বলতে চাও না ৷ অনেক কিছু বলার আছে ৷ তোমার বিবাহবিচ্ছেদের পুরো বিষয়টির দিকেই তাকিয়ে রয়েছি ৷ জানও আমার অ্যাসপরজার সিন্ড্রোম রয়েছে ৷ তোমার ভালোবাসা না পেলে কখনই আমি এর থেকে বেরতে পারব না ! ’ তবুও কোনও উত্তর দেননি হৃত্বিক ৷ কিন্তু লিখে চললেন কঙ্গনা ৷ ফেরক করলেন ইমেল, ‘এবার আমাদের রোজ দেখা করা উচিত ৷ নিজেদেরকে একটু সময় দেওয়া উচিত ৷ আরও চেনা উচিত নিজেদের ৷ ’
নিজেকে আটকে রাখতে পারেননি কঙ্গনা ৷ হৃত্বিককে নাকি ফোন করেছেন বহুবার ৷ বার বার ইমেল করে দেখা করতেও চেয়েছেন ৷ বার বার নিজের ভালোবাসাকে বোঝাতে চেয়েছেন ৷ কিন্তু হৃত্বিক জানিয়েছেন, সহব কিছু ভ্রান্ত ৷ কঙ্গনা যে ইমেলে চিঠি লিখতেন হৃত্বিককে তা হৃত্বিকের নয় ৷ তবে প্রশ্ন উঠেছে, হৃত্বিকের লিগাল নোটিস নিয়ে ৷ কঙ্গনাকে দেওয়া হৃত্বিকের আইনি নোটিসে উল্লেখ রয়েছে কঙ্গনার অ্যাসপারজার সিনড্রোমের কথা ! যদি ইমেলটি হৃত্বিকের না হয়, তাহলে কঙ্গনার মানসিক রোগের কথা হৃত্বিক জানলেন কীভাবে ?