এমনিতে বলিউডের তারকারা কড়া ডায়েটে থাকেন। তেল-মশলাযুক্ত খাবার তেমন খান না। কিন্তু বিকানের এলে সেখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ নিতে ভোলেন না। এমনটাই দাবি বিনোদের। কয়েক বছর আগে পর্যন্তও এই প্রবণতা দেখা যেত। শ্যুটিংয়ে করতে গিয়ে কঙ্গনা রানাউত, সঞ্জয় দত্ত, সঞ্জয় মিশ্রর মতো বড় মাপের অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও খাঁটি বিকানেরি স্বাদ চেখে দেখতে ভুলতেন না। এমনকী এখানকার কিছু খাবার বাড়ির জন্যও নিয়ে যেতেন তাঁরা। কিন্তু কোভিডের জেরে এই প্রবণতায় কোপ পড়ে। তবে সাম্প্রতিক কালে ফের এই ট্রেন্ড চালু হয়েছে। যা আশা জাগাচ্ছে ব্যবসায়ীদের মনে।
advertisement
বিনোদ বলেন, ছবির শ্যুটিংয়ের কাজে এসে তারকারা এখান থেকে কিছু না কিছু প্যাক করিয়ে বাড়ির জন্য তো নিয়ে যানই। সেই সঙ্গে তাঁরা কিছু কিছু বাছাই করা খাদ্যসামগ্রীও অর্ডার করেন। করোনার কারণে তা বন্ধ ছিল বটে, কিন্তু ফের বহু তারকাই খাদ্য সামগ্রী অর্ডার করতে শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন: স্বচ্ছ পোশাকে নোরার লাস্যময়ী ফটোশ্যুট, ছবি নিমেষে ভাইরাল
আরও পড়ুন: ফাঁকা পকেটেই মধুচন্দ্রিমা! গৌরী-শাহরুখের হানিমুনের প্রথম রাত কেমন কেটেছিল, জানলে আতঁকে উঠবেন
তিনি আরও জানান যে, বেশ কয়েক বছর আগে ক্যুইন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত শ্যুটিংয়ের জন্য বিকানের এসেছিলেন। সেই সময় তিনি এখানকার কাঁচা লঙ্কা আর রসুনের আচারের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এমনকী তা চেখেও দেখেন। এর পর তিনি কাঁচা লঙ্কা আর রসুনের আচার এবং রাজস্থানের বিশেষ কের সাঙ্গরি আচার মুম্বইয়ের বাড়ির জন্য প্যাক করিয়ে নিয়েছিলেন। সেই সময় কঙ্গনা জানিয়েছিলেন যে, তাঁর আত্মীয় বিকানেরি সুপারি খুবই পছন্দ করেন।
শুধু কঙ্গনাই নন, খোদ সঞ্জয় দত্তও খাঁটি বিকানেরি স্বাদের ভক্ত। ছবির শ্যুটিংয়ে বিকানের এলে তিনি ডাল বাটি চুরমার স্বাদ চেখে দেখবেনই। এমনকী বিনোদের থেকে সেখানকার দেশি ঘি সম্পর্কেও তথ্য চান সঞ্জয় দত্ত। তিনি জানিয়েছিলেন যে, এটি বাড়ির জন্য নিয়ে যাবেন। এর পর একটি ছোট পাত্রে ভরে সেখানকার দেশি ঘি নিয়ে ফিরেছিলেন অভিনেতা। বিকানেরের লোভনীয় স্বাদ চেখে দেখেছেন অভিনেতা সঞ্জয় মিশ্রও। তিনি আবার এখানকার আচার আর ঘিয়ের ভক্ত হয়ে গিয়েছেন। এক বার নিজে কিনে নিয়ে যান। এর পর আরও দুই বার বিকানেরের আচার ও ঘি অর্ডার করেছিলেন তিনি।