আইএএনএস-এর কাছে কঙ্গনা বলেন যে, “যদি পুরো ভার্সনটাই মুক্তি পেত, তাহলে সেটা আমার ভাল লাগত। কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু দৃশ্য বাদ যাচ্ছে বলে আমার কোনও সমস্যা নেই। কারণ এটা এমন কোনও ছবি নয়, যা কাউকে নিয়ে তামাশা করার জন্য বানানো হয়েছে। এটা সেরকম একেবারেই নয়। ঠিক আছে। আসলে ওঁরা ইতিহাসের কিছু পর্ব সম্পূর্ণ রূপে বাদ দিয়েছেন। আর সত্য ঘটনা হল যে, এটা আমার ছবির উপর কোনও রকম প্রভাব ফেলছে না। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এটি তার একটি সাক্ষ্যপ্রমাণ, যে কিছু আসে-যায় না।”
advertisement
অভিনেত্রী আরও বলেন যে, “এই গল্পটি একেবারেই অক্ষত রাখা হয়েছে। আর এই ছবির বার্তাও একদম অক্ষত, আর সেটা হল দেশপ্রেম। তাই আমার মনে হয় না, এটা বড় অংশে কোনও প্রভাব ফেলবে। কিন্তু তাঁরা যদি এটা করে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই এর পিছনে কোনও কারণ রয়েছে।”
১৯৭০ সালে এমার্জেন্সি ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি। আর এই ঘটনাটিকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে কঙ্গনা রানাউতের ‘এমার্জেন্সি’। ভারতীয় গণতন্ত্রের সবথেকে চর্চিত অধ্যায়ই পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে ওই ছবিতে।
আরও পড়ুন : হৃদরোগে থামল পথচলা…বিনোদনকে বর্ণহীন করে চলে গেলেন সাংবাদিক প্রীতীশ নন্দী
‘এমার্জেন্সি’ ছবির গল্প লিখেছেন, পরিচালনা করেছেন এবং নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন স্বয়ং কঙ্গনা রানাউত। ‘মণিকর্নিকা: দ্য ক্যুইন অফ ঝাঁসি’ ছবির পর দ্বিতীয় বারের জন্য ছবি পরিচালনার দায়িত্বে অভিনেত্রী। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মহিমা চৌধুরি, মিলিন্দ সোমন, শ্রেয়স তালপাড়ে, বিশাখ নায়ার এবং প্রয়াত সতীশ কৌশিকের মতো তারকারা। এই ছবিটির প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে জি স্টুডিওজ, মণিকর্নিকা ফিল্মস এবং রেণু পিট্টি। ‘এমার্জেন্সি’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন সঞ্চিত বলহারা এবং জিভি প্রকাশ কুমার। সংলাপ এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন রীতেশ শাহ। আগামী ১৭ জানুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত এই ছবি।