এর পরই শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকার কঙ্গনা রানাওয়াতের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ নিতে শুরু করে দিয়েছে। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় কঙ্গনা রানাওয়াত মুখ খোলার পর থেকেই শিবসেনার সঙ্গে অভিনেত্রীর একাধিক ইস্যুতে সংঘাত শুরু হয়। এরপরই শিবসেনা সরকার পর পর পদক্ষেপ নিতে থাকে।কঙ্গনা রানাওয়াতের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আঘাড়ি সরকারের সংঘাত তুঙ্গে। আর তার জেরেই এবার মাদক যোগ নিয়ে কঙ্গনা রানাওয়াতের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উদ্ধব সরকার। বিষয়টি নিয়ে ময়দানে নামে মুম্বই পুলিশ। যে মুম্বই পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন কঙ্গনা!মূলত, কঙ্গনার প্রাক্তন ,বয়ফ্রেন্ড অধ্যায়ন সুমন একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেন যে কঙ্গনার মাদক যোগ ছিল। বহু বছর আগের সেই সাক্ষাৎকার ঘিরে এদিন মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় দুই বিধায়ক কঙ্গনার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তোলেন। আর সেই দাবিতে সম্মতি দেন উদ্ধব ঠাকরে।
advertisement
এদিকে, কঙ্গনা রানাওয়াতের মুম্বই অফিস ঘিরে বিএমসি ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে। সেখানে কাজ বন্ধের নোটিস বিএমসি থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। মুম্বইকে 'মিনি পাকিস্তান' বলার পর শিবসেনা সরকার এমন প্রতিশোধমূলক বন্দোবস্ত করবে বলে আগেভাগেই আঁচ করেন কঙ্গনা। আর তারপরই তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, মুম্বইয়ে অফিস গড়ার স্বপ্ন এবার ভেঙে দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে সুশান্ত সিং মামলা থেকে ক্রমেই মহারাষ্ট্রে ফোকাস ঘুরতে শুরু করেছে কঙ্গনা বনাম শিবসেনার যুদ্ধের দিকে। ফের একবার কঙ্গনার মুম্বইয়ের অফিসে শিবসেনা সরকারের লোকেরা আসে। কঙ্গনার মুম্বইয়ের অফিস বেআইনি বলা হয়। ঝোলানো হয় নোটিস। নতুন করে বাংলোয় কাজ করাচ্ছিলেন কঙ্গনা। যা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয় মুম্বইয়ের অফিস। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিনেত্রী। তিনি ট্যুইটারে লেখেন, " মণিকার্ণিকা ছবির আগেই অযোধ্যার ঘোষণা হয়েছিল। আমার এই বাড়ি আমার জন্য একটা ইমারত নয়, রাম মন্দিরের সমান। আজ এখানে বাবর সম্রাট এসেছিল। ইতিহাস আর একবার নিজের পুরনো ঘটনা সামনে আনবে। বাবর যদি রাম মন্দির ভাঙে, তাহলে আবার ওখানেই মন্দির হবে। যেভাবে অযোধ্যায় রাম মন্দির হয়েছে ঠিক সেভাবেই। জয় শ্রীরাম।" কঙ্গনার এই মন্তব্যের পর ফের একবার নড়েচড়ে বসে শিবসেনা। এখন দেখার এই তরজা কতদূর এগোয়।