এই ঘটনার প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক হইচই শুরু হয়। পরিচালক-সহ বাকিদের সমর্থনে একাধিক টলি তারকা লেখালেখিও শুরু করেন। সে দিনই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় থানা থেকে।
আরও পড়ুন: সিপিএম পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করছে, কমলেশ্বর, বিকাশকে আটক করা নিয়ে মন্তব্য কুণালের
সম্প্রতি দশমীতে তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে দীর্ঘ পোস্ট করেন পরিচালক, 'প্রথমেই জানাই আমি ভালো আছি। তার চেয়েও বড় কথা শক্ত আছি। এবং বহাল তবিয়তে লড়াইয়ে আছি। দ্বিতীয়ত, একা আমি গ্রেফতার হইনি। ছবি-নাটক করে আমার হয়তো একটু নামডাক হয়েছে। তাই অনেকেই আমার কুশল জানতে চেয়েছেন। আমাদের পাশে অনেক প্রথিতযশা গুণীজন দাঁড়িয়েছেন এবং এই গ্রেপ্তারের বিরোধিতা করেছেন। আবির, অনীকদা, টোনিদা (অনিরুদ্ধ), সৃজিত, রীনাদি (অপর্ণা সেন), জয়জিৎ, সুদীপ্তা, শ্রীলেখা, চূর্ণী, কৌশিকদা (গাঙ্গুলী), বাদশা, ঋত্বিক, অনিন্দ্য, জয়রাজ, মন্দাক্রান্তা, পদ্মনাভ, কৌশিক (সেন), ঋদ্ধি, দেবুদা (দেবজ্যোতি মিশ্র), রাজর্ষি, বিভাষবাবু, দেবেশ, রোজা, মনীষা, অনন্যা (সেনগুপ্ত), মৌমিতা, মৌসুমী, ফুয়াদ হালিম, সৌমিক, ইন্দ্রজিৎ, নৌশাদ সিদ্দিকী এবং আরও অনেকে সোচ্চার হয়েছেন। অনেকে হয়তো প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। কিন্তু তাঁরা ফোন করে বা হোয়াটসঅ্যাপ করে খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং আমাদের লড়াইকে সমর্থন করেছেন।'
advertisement
একইসঙ্গে তিনি জানান, দেব এবং রুক্মিণী মৈত্রকে নিয়ে যে সমালোচনা শুরু হয়েছে তা ভিত্তিহীন। তাঁর কথায়, 'অনেকেই জানতে চেয়েছেন বা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই ভেবে যে অভিনেতা দেব কিছু বললেন না কেন? দেব এবং রুক্মিণী আমার খুবই বন্ধু। ওঁরাও ঘটনার অনতিবিলম্বে আমার কুশল জানতে চেয়ে একবার নয় একাধিকবার ফোন করেছিলেন।'
আরও পড়ুন: বই বিপণি ভাঙার প্রতিবাদ ঘিরে রাসবিহারীতে গোলমাল, গ্রেফতার বিকাশ-কমলেশ্বররা
প্রসঙ্গত, দেব এবং কমলেশ্বরের বন্ধুত্ব আজকের নয়। কমলেশ্বর পরিচালিত 'চাঁদের পাহাড়', 'ককপিট', 'পাসওয়ার্ড'-এ অভিনয় করেছেন দেব। 'ককপিট', 'পাসওয়ার্ড'-এ রুক্মিণীকেও দেখা গিয়েছিল নায়িকার চরিত্রে। তা ছাড়া রাহুল মুখোপাধ্যায় পরিচালিত 'কিশমিশ'-এ দেব-রুক্মিণীর সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নিয়েছিলেন কমলেশ্বরও।
একই পোস্টে কমলেশ্বর কয়েক জন মানুষের নাম না নিয়ে ব্যঙ্গও করলেন। 'আরও অনেকে (যাঁরা অন্যত্র দেখা হলে হয়তো আন্তরিকতা প্রদর্শন করেন) তাঁরা আজ কোনও কথা বলতে চাননি। কিন্তু তাঁদের ওপর আমার বা আমাদের কোনো ক্ষোভ নেই। একদিন তাঁরা নিশ্চয়ই আমাদের লড়াইয়ে সামিল হবেন, এই আশা রাখি।' তবে কমলেশ্বর কাউকে দোষারোপ করেননি। সকলের পরিস্থিতি কথা মাথায় রেখে তিনি লিখলেন, 'সিনেমা ব্যবসায় যুক্ত সকলেরই নিরাপত্তাহীনতা থাকে, হারানোর অনেক কিছু থাকে। বিশেষ বিশেষ সময়ে কেউ সেই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠেন, আবার কেউ পারেন না। তার মানেই তিনি ভিন্নমত প্রকাশ করেন বা তিনি শত্রু, তা কিন্তু নয়।'
রাসবিহারী এভিনিউতে প্রতাপাদিত্য রোডে সিপিএমের ‘প্রগতিশীল সাহিত্য’ বিপণিতে সপ্তমীর রাতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। ওই বইয়ের বিপণিতে 'চোর ধরো, জেল ভরো' পোস্টারও দেখা গিয়েছিল। সিপিএম-এর অভিযোগ, সেই পোস্টার দেখেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই বিপণিতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।