পরিচালক শর্মিষ্ঠা মাইতি জানান, "সাম্প্রতিক কালের একটি সিনেমা। তাই এর নাম কালকক্ষ। কাল অর্থ মৃত্যু, কাল মানে মহাকাল। ছবিটি সেই কালের যাত্রাকেই বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কক্ষ মানে হল একটি ক্ষণ, প্যান্ডেমিককালে আমরা এই কক্ষেই বন্দি হয়ে গিয়েছিলাম।" অন্য পরিচালক রাজদীপ পাল আবার জানিয়েছেন এটি মানুষে মানুষে ভালবাসার ছবি।
আরও পড়ুন: সৌমিত্রহারা অর্কেস্ট্রা গ্রুপ! তিনি একচিলতে রিহার্সালের জায়গা খুঁজে না দিলে আজ শো করাই সম্ভব ছিল না
advertisement
অভিনেতা অমিত সাহা কিন্তু ভীষণভাবেই আনন্দিত এবং গর্বিত। "পথের পাঁচালি, অযান্ত্রিক, রাইকমল, সিস্টার নিবেদিতা, জলসাঘর এইসব সিনেমা যে প্রযোজনা সংস্থার, সেই অরোরা প্রযোজনা সংস্থা আবার সিনেমা করছেন। কালকক্ষ। সেখানে অভিনয় করতে পারা আমার সৌভাগ্য। অভিনেত্রী তন্বিষ্ঠা বিশ্বাস জানান, "গল্পটি তিনটি প্রজন্মকে দেখায়। গল্পটি ভীষণভাবেই আমাদের জীবনের গল্প। প্যান্ডেমিকে আমাদের মানসিক পরিস্থিতি ঠিক যেভাবে একটা জায়গার মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল, সেই বিষয়কে নিয়েই ছবিটা"
আরও পড়ুন: ফের সুপারহিট মালাইকা! লাস্যময়ী কালো পোশাকে নেট মাধ্যমে ঝড় তুললেন নায়িকা
অতিমারির ভয়াবহতা যে কী আকার ধারণ করতে পারে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে তা সকলেরই জানা। তবে অতিমারি বিধ্বস্ত পৃথিবীতে মানুষের মানসিক সুস্থতা ঠিক কতটা প্রয়োজনীয়, মানুষের মানবিক হওয়াটা ঠিক কতটা প্রয়োজনীয়, একে অপরের জন্যে থাকাটা ঠিক কতটা প্রয়োজনীয়, চিকিৎসকদের সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা কতটা প্রয়োজনীয় এবং ঠিক একইভাবে সমাজকে বাঁচিয়ে রাখতে চিকিৎসকদের সুস্থ থাকাটা যে কতটা প্রয়োজনীয় সেটা এই ছবি দর্শকদের শিখিয়ে দিয়ে যাবে। ছবিতে ডাক্তারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জনার্দন ঘোষ, এছাড়াও ছবিতে অন্যান্য মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন তন্বিষ্ঠা বিশ্বাস, শ্রীলেখা মুখোপাধ্যায় এবং অহনা কর্মকার।