“চাওয়াল বানায়া হ্যায়… কাম কি চিজ হ্যায়। সবকে পেট কে লিয়ে ভারি আইটেম হ্যায়,” জ্যাকি এই খাবারটি পরিবেশন করে বলেন। এই সহজ কথার মধ্যেই একটি গভীর সত্য লুকিয়ে আছে। গেঁজানো ভাত কেবল আরামদায়ক খাবার নয়; পুষ্টির পাওয়ার হাউসও, যা স্বাস্থ্য উপকারিতায় পরিপূর্ণ।
আরও পড়ুনTerracotta : ঐতিহাসিক নিদর্শন, টেরাকোটার নিদর্শনে ভরপুর দাসপুরের প্রাচীন মন্দিরগুলি, দেখলেই মন ভরবে
advertisement
গেঁজানো ভাত, যা বিভিন্ন অঞ্চলে পাজায়া সাধম, পান্তা ভাত, অথবা দই ভাত নামে পরিচিত, তা দীর্ঘদিন ধরে ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় খাদ্যতালিকার বিশেষ অংশ, বিশেষ করে উষ্ণ জলবায়ুতে। যখন ভাত ভিজিয়ে রাখা হয় বা রাতারাতি গেঁজানোর জন্য রেখে দেওয়া হয়, তখন এটি প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ হয়, যা ভাল ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে, হজমশক্তি উন্নত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
গাঁজন প্রক্রিয়াটি আয়রন এবং ভিটামিন বি১২ এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টির জৈব উপলভ্যতাও বৃদ্ধি করে, একই সঙ্গে স্টার্চ ভেঙে পেটের জন্য খাবারটি হালকা করে তোলে। দই এবং পেঁয়াজ দিয়ে, জ্যাকি যেভাবে খান, খাবারটি শরীর শীতল রাখার মহৌষধে পরিণত হয়, বিশেষ করে বাইরে দীর্ঘ সময় বা গরমে থাকার পরে।
জ্যাকির খামারবাড়ি ধীর, টেকসই জীবনযাপনের একটি আদর্শ উদাহরণ। তাঁর বাগানে দেখা যাবে তাজা সবুজ শাক, রান্নাঘরে মাটির পাত্র, মরশুমি ও স্বদেশি খাবারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা হেঁশেলের রন্ধনশৈলীতে ফুটে ওঠে। জ্যাকির দই ভাত আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, কখনও কখনও সবচেয়ে শক্তিশালী রেসিপিগুলিই সবচেয়ে সহজে প্রস্তুত করা যায়, যা আমাদের মাটির সঙ্গে, আমাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে এবং প্রকৃত পুষ্টির সঙ্গে সংযুক্ত করে।
অভিনেতার ফার্মহাউসের খাবার একটি চিরন্তন দিকে জোর দেয়- বাড়িতে যখন গেঁজানো ভাতের পাত্র থাকে, তখন আমদানি করা প্রোবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। এটি বাজেট-বান্ধব, শরীর-বান্ধব এবং ভারতীয় পাকশৈলীর গভীরে প্রোথিত সত্য। তা প্রমাণ করে যে প্রকৃত স্বাস্থ্য প্রায়শই আমাদের নিজস্ব রান্নাঘর থেকেই শুরু হয়।
