কী হয়েছিল সেটে? আসলে এটি ছিল একটি টেলিফিল্ম৷ নাম উল্কা৷ কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় নিজেও অভিনয় করেছিলেন৷ উজানের বয়স তখন খুব কম৷ তাঁর চরিত্রের নামও ছিল উজান, কারণ সেই নামে না ডাকলে তখন সে সাড়া দিতে জানত না৷ উজানের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অপরাজিতা আঢ্য৷ সেই ছোটবেলা থেকেই খুব নিয়মানুবর্তীতায় বড় হয়েছেন উজান৷ তাঁর মা অভিনেত্রী চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় সন্তান পালন করেছেন খুবই দক্ষতার সঙ্গে৷ কখনও তিনি ছোট্ট উজানের উপর নিজের মতামত চাপিয়ে দিতে চাননি, বরং ছেলেকেই শিখিয়েছেন শান্ত মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে৷ লক্ষ্মী ছেলে ছবির প্রচারে নিউজ১৮ বাংলার ফেসবুক লাইভে শোনা গেল সেই গল্প৷ যা হয়ত বহু বাবা-মায়ের কাছে সন্তান বড় করার টিপস হিসেবেও কাজ করতে পারে৷
advertisement
উজান জানান, ছোট বেলায় সোমবার ছিল আমার চিপস খাবার দিন৷ দিনটি আমিই বেছে নিয়েছিলাম৷ তবে সেই সময় পাহাড়ে শ্যুট করতে গিয়ে পুরো ইউনিটের কারও মনে ছিল না যে দিনটি সোমবার৷ কিন্তু আমি তো চিপসের আশায় বসে ছিলাম৷ কিছুতেই কাজ করতে চাইছিলাম না আর চিপসের জন্য কান্না জুড়েছিলাম৷ পরে চিপস দিয়ে আমায় শান্ত করা হয়েছিল৷ আর একবার অপরাজিতা আঢ্যর হাসি শুনে কেঁদে ফেলেছিলাম৷
আপাতত লক্ষ্মী ছেলে মুক্তির অপেক্ষায় সকলে৷ কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবির গল্প মন ছুঁয়ে যায়৷ তিনি গল্প বলতে ভালবাসেন এবং তাঁর ছবিতেও উঠে আসে সাধারণ মানুষের কথা৷ ছবির প্রচারেও রয়েছে অভিনবত্ব৷ পথ নাটিকার মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, যার কথা বলে লক্ষ্মী ছেলে ছবিটিও৷ এভাবে প্রচারের সময় সাধারণ মানুষের আরও কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পেরেও আপ্লুত উজান৷ এভাবে তিনিও সাধারণের মধ্যে এবং সাধারণভাবেই জীবনে এগিয়ে যেতে চান, ফেসবুক লাইভে সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি৷