বিশ্বভারতীর বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে কৌশিক সেন:
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বভারতীর নিজস্ব মতামত থাকতেই পারে বা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার অধিকার অবশ্যই আছে। কিন্তু আপত্তির বিষয় হল বিজ্ঞপ্তিতে যে ধরনের ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তা কখনোই কাম্য নয়। যে ধরনের ভাষার ব্যবহার হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। মনে হচ্ছে কোনও পাড়ার ক্লাবের দাদাগিরি। মতামত তার পাল্টা মতামত গণতন্ত্র এ অবশ্যই থাকতে পারে। কিন্তু সংস্কৃতি ভুলে নয়। অমর্ত্য সেন নোবেল পেয়েছেন কিনা এর মতো নিকৃষ্টতম আলোচনা আর হতে পারে না। অমর্ত্য সেন আমাদের সকলের কাছেই শ্রদ্ধেয় তাঁকে এই ধরণের অসম্মান সত্যি খুবই দুঃখের। বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বভারতীর এই ভাষার তীব্র সমালোচনা করছি।
advertisement
সেই সঙ্গে আসার রাখছি যে তৃণমূল বা শাসক দাল ও এর জবাব যদি দিতে হয়, শালীনভাবেই যেন দেয়। না হলে বিশ্বভারতীর এই অশালীন আচরণের সঙ্গে কোনওরকম পার্থক্য থাকবে না।
আরও পড়ুন: বাজেট নিয়ে কি জ্যোতিষেই ভরসা রাখছে রাজ্য? দিন পরিবর্তন নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা
বিশ্বভারতী বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে নাট্য ব্যক্তিত্ব দেবেশ চট্টোপাধ্যায়:
অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। আজ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিজ্ঞপ্তিটি চাক্ষুষ করে একপ্রকার অবাক হলাম। উপরে যদি বিশ্বভারতীর লোগো না থাকতো তাহলে হয়ত ভাবতাম এটা কোন রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞপ্তি। যে ধরনের ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে গোটা বিজ্ঞপ্তিটি জুড়ে তা কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে হতে পারে ভেবেই অবাক লাগছে। পুরোটাই মনে হচ্ছে যেন কোন রাজনৈতিক মতামত। বিশ্বভারতীর মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এ হেন আচরণ সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। আমি বিশ্বভারতীর মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে এই ধরনের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করছি।
নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত বিশ্বভারতীর এই ধরনের বক্তব্য এবং মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণের তীব্র সমালোচনা করেছেন। অন্যদিকে শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার এই ধরনের বিজ্ঞপ্তির ভাষাকে কুৎসিত মন্তব্য বলে সমালোচনা করেছেন।