রূপকলা কেন্দ্র থেকে সাউন্ড নিয়ে স্নাতকোত্তার পাস করেন চুঁচুড়ার সোমনাথ। সেখান থেকেই সিনেমা বানানোর প্রতি বিশেষ ঝোঁক। সত্যজিৎ রায়ের ছবি তার জীবনের অনুপ্রেরনা। সঙ্গিত শিল্পী কনা ভদ্রের মেয়ে সঙ্গিতা ভদ্রের কাছে গানের তালিম নিয়ে লোকগান করেন। গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভালে,আগামী ১০০ বছরে ভারতীয় মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে বানানো ডার্ক ড্রামা জনারের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের সিনেমা তৈরি করে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
advertisement
ছোটোবেলায় পোলবার গ্রামে সময় কেটেছে। সেই গ্রাম্য জীবনের উপর শর্ট ফিল্ম তৈরি করেন।চন্দননগরে চলচ্চিত্র উৎসবে তার ছবির অভিনেতা যখন সেরার শিরোপা পায় তখন ভাললাগে।সেই ভাললাগা থেকে তার ফিল্মি জার্নি শুরু। ২০২১ সালে স্বচ্ছতা দিবসে তার তৈরী শর্ট ফিল্ম প্রথম পুরষ্কার জেতে।আজাদি কি অমৃত মহোৎসব পালিত হচ্ছে দেশে। এবছরই নভেম্বরে ২০-২৮ গোয়ায় হয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব আই এফ এফ আই।সেখানে দেশী বিদেশী ছবি দেখানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে মোট পঁচাত্তর জন উদিয়মান কলাকুশলীকে বেছে নেওয়া হয়।পনের জন করে পাঁচটি গ্রুপে ভাগ করে ৫৩ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয় ছবি তৈরির জন্য।পার্পেল গ্রুপের পরিচালক ছিলেন সোমনাথ।
আরও পড়ুন: কলি যুগে হনুমানের লঙ্কা কাণ্ড! নিজের চোখে দেখলেন শান্তিপুরের মানুষ! জানুন
আগামী ভারতে নারীদের নিয়ে তার তৈরি দশ মিনিটের ছবি "ডিয়ার ডায়রী" প্রথম পুরষ্কার ছিনিয়ে নেয়।বিখ্যাত পরিচালক মনি রত্নম বিজয়ী গ্রুপের হাতে দু লাখ পঁচিশ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।সে এক অন্য অনুভূতি বলছিলেন সোমনাথ।ভারতীয় সিনেমার বিখ্যাত সব ব্যাক্তিত্বকে সামনে থেকে দেখা,গোয়ার মত জায়গায় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেওয়া পুরস্কার পাওয়া সব স্বপ্নের মত।সেই স্বপ্ন অবশ্য সফল হত না যদি সোমানথের পাশে উত্তরন না থাকত।চুঁচুড়া কাপাসডাঙার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উৎসাহে এবং সাহায্য গোয়ায় যেতে পারেন সোমনাথ।সেখানে যাওয়ার মত পোশাক ছিল না তার। ছিল না টাকার সংস্থান।
Rahi Haldar