কেনই বা Wrexham AFC?
ইংলিশ ফুটবলে বেশ পুরনো ও ঐতিহ্যশালী নাম এটি। কিন্তু আয়ের ক্ষেত্রে সে ভাবে তেমন একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি এই ক্লাব। বর্তমানে প্রফেশনাল ফুটবলের নিচের ডিভিশনে অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে ক্লাবটি। টাকার জোর না থাকায় বিগত কয়েক বছরে অনেকটা পিছিয়ে পড়তে হয়েছে। কিন্তু যখনই এর ব্র্যান্ড ভ্যালু আরও বেড়ে যাবে, তখন আয়ের পরিমাণও বাড়বে। সুপ্রাচীন ঐতিহ্য ও বহু পুরনো অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আরও বড় হয়ে উঠবে ক্লাবটি। আর সেই সম্ভাবনার সূত্র ধরেই যাবতীয় বিনিয়োগ কৌশল তৈরি করা হয়েছে। বিনিয়োগের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে Wrexham AFC-কে। এক্ষেত্রে রেনল্ডসের ব্র্যান্ড ইমেজ ও ভ্যালুও একটা বড় বিষয়।
advertisement
কেনই বা রায়ান রেনল্ডস?
রেনল্ডস কিন্তু একজন সফল বিনিয়োগকারী বা ইনভেস্টর। বেশ কয়েকটি জায়গায় তাঁকে সুপার ইনভেস্টরও বলেও ডাকা হয়। ইতিমধ্যেই Aviation Gin, ডিসকাউন্ট প্রি-পেইড প্রোভাইডার Mint Mobile-সহ একাধিক সংস্থায় শেয়ার রয়েছে তাঁর। এই ব্র্যান্ডগুলির তেমন কোনও বিরাট টার্নওভার নেই। ততটা বিখ্যাতও নয়। কিন্তু নিজের ব্র্যান্ড ভ্যালু ব্যবহার করে আজ বিশ্বমাঝারে এই ব্র্যান্ডগুলিকে পরিচিতি দিয়েছেন রেনল্ডস। এক্ষেত্রে Aviation Gin-এর শেয়ার কেনার পরের বছর থেকেই প্রায় ১০০ শতাংশ সেলস গ্রোথ দেখা গিয়েছে। আর যেই সংস্থাটি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে, অমনি তাঁকে বেচার পরিকল্পনা শুরু হয়ে যায়। অল্প টাকায় কেনা Aviation Gin-এর শেয়ার পরের দিকে ৬১০ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেন রেনল্ডস। শেয়ারটি কিনে নেয় Diageo। এই ক্লাবের শেয়ার কেনার পিছনেও একই পরিকল্পনা লুকিয়ে রয়েছে।
Wrexham-এর মতো ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পিছনে মূল লক্ষ্য কী?
বলা বাহুল্য, রেনন্ডস ও ম্যাক এলহেনের মতো আরও একজন তৃতীয় বিনিয়োগকারী রয়েছেন। তালিকায় রয়েছেন লেখক ও কমেডিয়ান হামফ্রে কের (Humphrey Ker)। তাঁর কথায়, প্রথমেই একটু ঝুঁকি ও আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে যে ক্লাবের উপরে বিনিয়োগ করা হচ্ছে, সেই ক্লাবটি যদি ঠিকঠাক পারফরম্যান্স করে, তাহলে আর কথা নেই! ঠিকঠাক মুনাফা লাভের পর ভালো কোনও বিনিয়োগকারী দেখে ক্লাব ফ্র্যাঞ্চাইজি বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করতে হবে। সাধারণত এটাই লক্ষ্য হয়ে থাকে প্রতিটি বিনিয়োগকারীর।
ইয়োরোপিয়ান ফুটবলে বিনিয়োগের এই প্রবণতার পিছনে কারণটা কী?
আজকাল অনেক ক্ষেত্রেই আমেরিকার বাসিন্দাদের ইয়োরোপিয়ান ফুটবলে বিনিয়োগ করতে লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিন্তু এর পিছনের কারণটার উপরে নজর দেওয়া দরকার। ২০১০ সালের শুরু থেকে চিনের সংস্থাগুলিকেও ইয়োরোপিয়ান ফুটবলে বিনিয়োগ করতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য ছিল ব্র্যান্ড রিকগনিশন। বিশ্ব বাজারে নিজেদের একটি ছবি তৈরি করা। কিন্তু গত বছরের করোনা উপদ্রব, অর্থনীতির পতন ও চিনের প্রতি একটা অভিযোগের মানসিকতা এই সম্পর্কটিকে দুর্বল করে দিয়েছে। পাশ্চাত্যের অর্থনীতি ও চিনের মধ্যে একটা ঠাণ্ডা যুদ্ধ শুরু হয়েছে। আর চিনের সংস্থাগুলির এই শূন্যস্থান পূরণ করতে এগিয়ে এসেছে আমেরিকার বিনিয়োগকারীরা।