ধারাবাহিকে দেখানো হয় গুনগুনকে রেখে কনফারেন্সে এক সপ্তাহের জন্য ইতালিতে গিয়েছেন তাঁর ড্যাডি৷ তাঁর এক সহকর্মী ফোনে সৌজন্যকে জানায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন কৌশিক।
"বিশ্বাস করতে পারছি না আমার আর ড্যাডি ডাকার আর কেউ রইল না!" এইভাবেই ভেঙে পড়েছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের অনস্ক্রিন 'মেয়ে', খড়কুটো ধারাবাহিকের সহ অভিনেত্রী তৃণা সাহা। সকাল সকাল খবর পেয়েই ছুটে গিয়েছিলেন অভিনেতার প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বাড়িতে। ফিরে আবার ছুটছেন টেকনিশিয়ান্স স্টুডিও। শেষ মুহূর্তটুকু কিছুতেই যেন কাছ ছাড়া করতে চায় নি 'ড্যাডির' আদরের 'গুনগুন'। করবেই বা কী করে? গত দেড় বছরে এই ড্যাডিই যে হয়ে উঠেছিলেন নিজের বাবার মতো। তাই শ্যুটিংয়ের বাইরেও, রয়ে গিয়েছিল সেই মধুর ডাক, 'ড্যাডি'। আর ভালোবেসে মেয়েকে 'গুনগুন' নয়, 'মা' বলেই ডাকতেন অভিষেক। তাঁর এই আকস্মিক মৃত্যু কিছুতেই যেন মেনে নিতে পারছেন না অভিনেত্রী তৃণা সাহা (Trina Saha)। পর্দায় প্রয়াত অভিনেতার মেয়ের ভূমিকায় তৃণা অভিনয় করেছেন দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে। সেই কেমিস্ট্রি বজায় ছিল পর্দার বাইরেও।
advertisement
আরও পড়ুন- বিয়ে করেছেন রণবীর-আলিয়া! কিন্তু মন ভাঙল টলি পাড়ার এই ৮ নায়িকার
"যখনই বলেছি শরীরের যত্ন নাও। এটা খেয়ো না, ওটা খেয়ো না। হাসতে হাসতে উড়িয়ে দিতেন।" ফ্ল্যাশব্যাকে মতোই মুহূর্তগুলো ভেসে উঠছিল তৃণা সাহার চোখে। ধরা গলায় বলে চলছিলেন সেই সব মজা-হাসি-হইহই করা দিনগুলির কথা। পর্দার বাইরেও মেয়ের মতোই কখনও বাবার ঠোঁট থেকে সরিয়ে দিয়েছেন সিগারেট। উল্টোদিকের সেই সদা হাসিখুশি বিন্দাস মানুষটা কিন্তু শুধু বলে গিয়েছেন, "আমি ফিট অ্যান্ড ফাইন আছি! আমার কিচ্ছু হবে না"।
তৃণার জীবনে যেন সেই একই সময় ফিরে এল আবার৷ ধারাবাহিকের সবার অভিনয় দেখে এটা স্পষ্ট যে, তাঁরা অভিষেককে ভোলেননি৷ স্মৃতিটুকু যেন উসকে দিল কেউ৷