২০১২ সালে হিন্দুস্তান টাইমস-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকার চলার সময় এই দম্পতিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তাঁরা কী ভাবে তাঁদের বাবা-মায়ের সঙ্গে একে অপরের বিষয়ে কথা বলেছিলেন। সোহা বলেছিলেন, যে তিনি তার বাবা মনসুর আলি খান পতৌদিকে (Mansoor Ali Khan Pataudi) তাঁদের সম্পর্কের কথা জানানোর জন্য মায়ের উপর নির্ভরশীল ছিলেন। তিনি বলেন, "আমি কখনই বাবাকে সরাসরি বলতে পারিনি কারণ ছেলে বন্ধু নিয়ে আমাদের কখনও আলোচনা হয়নি। এই বিষয়ে আমি আমার মায়ের উপর নির্ভরশীল ছিলাম। আমি মাকেই বলেছি কারণ, মা আমাকে বোঝেন এবং আমার পছন্দের উপর বিশ্বাস করতেন। মা আগে কুণালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, দুর্ভাগ্যক্রমে কুণাল সেই সময় একটি গোলাপি বাথরোব পরে ছিল"।
কুণাল তখনই সোহাকে সংশোধন করে বলেন যে গোলাপি নয়, সাদা বাথরোব, সোহাও সেই কথায় সায় দেন। “এই অবস্থাতেই মা কুণালকে পছন্দ করেন এবং কুণালও মায়ের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন” বলে জানান সোহা আলি খান। এই একই প্রশ্নে, কুণাল জবাব দিয়েছিলেন, "আমার বাবা কিছুটা অস্বস্তি পড়েছিলেন, কারণ আমি প্রথমবার তাঁদের বলেছিলাম যে আমি একটি মেয়েকে পছন্দ করি"। সোহার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কুণাল বলেছিলেন, "আমি সইফ ভাইকে খুব পছন্দ করি। তিনি খুব মনোরঞ্জনী ব্যক্তি, যে কেউ তাঁর সঙ্গে মিশে যেতে পারে। আমি আম্মাকে (শর্মিলা ঠাকুর) অনেক সম্মান করি। তিনি কিংবদন্তি অভিনেত্রী এবং প্রথমদিকে আমি তাঁকে দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। আর সাবা খুব বাস্তববাদী ব্যক্তি"।
কুণাল খেমু ১৯৯৩ সালে শিশু অভিনেতা হিসাবে হিন্দি ছবিতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। অনেক হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন। কিছু দিন বিরতি নেওয়ার পর ২০০৫ সালে কলযুগ (Kalyug) দিয়ে মুখ্য চরিত্রে বলিউডে নিজের কেরিয়ার শুরু করেন।