অবশ্য, সারা তাঁর এই ঘরের কাজে মন দেওয়ার একটা বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গীও তুলে ধরেছেন। আমরা সবাই জানি যে কোভিড ১৯-এর দ্বিতীয় ঝাপটায় মহারাষ্ট্রের বেশ খারাপ অবস্থা, ইতিমধ্যেই সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। লকডাউন এখনও পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি ঠিকই, কিন্তু ব্যাপারটা প্রায় সেই রকমই- বাড়ি থেকে তো আর কোথাও বেরোনোর উপায় নেই। আড্ডা দেওয়ার জায়গাগুলোও থাকবে বন্ধ, অন্য দিকে তালা পড়ে গিয়েছে বলিউডের নানা জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা শ্যুটিং ফ্লোরেও।
কিন্তু বাড়িতে বসে থাকার অভ্যাস অনেক দিল হল চিড় খেয়েছে সারার। বেশ কয়ে বছর ধরেই তাঁর নাম উঠে গিয়েছে বলিউডের ব্যস্ত নায়িকাদের খাতায়, ফলে শ্যুটিংয়ের জন্য তিনি বাড়িতে থাকার তেমন সুযোগই পান না। সঙ্গে আছে নানা ফ্যাশন শো, বিজ্ঞাপনের কাজ, ছবি প্রচারের কাজ। এই সব থেকে সময় বের করতে পারলে বাড়ির একঘেয়ে পরিবেশে থাকতে পছন্দ করেন না নায়িকা, মা আর ভাইয়ের সঙ্গে কোথাও একটা বেড়াতে চলে যান। এবার যেমন গিয়েছিলেন কাশ্মীরে।
কিন্তু ফিরে এসে ঘরবন্দী হয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই! তাই বাড়ির একেয়ে পরিবেশ দূর রতে হলে সবাই যা করেন, সেই পথেই হাঁটলেন সারাও- তিনি ঘর গোছগাছ এবং তা নতুন করে সাজানোয় মন দিলেন। মন দিলেন সোফার কভার বদলানোয়। যাতে আসবাবগুলোও দেখতে নতুন লাগে, একটা তরতাজা ভাব আসে, বাড়িতে থাকতে ভালো লাগে। কিন্তু ঘরের কাজ করে অভ্যস্ত নন সারা, ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তিনি ক্লান্ত হয়ে বসে পড়েছেন কার্পেটের উপরে মাটিতে। তবে মুখে রয়েছে তৃপ্তির হাসি, কাশ্মীরের আকাশের নীল যেন ঘরে বন্দী করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি!